রাজকুমার আচার্য, নন্দীগ্রাম: কোচবিহার থেকে কলকাতা রেশনকে ঘিরে একের পর এক অভিযোগে উত্তাল বাংলা। এবার সেই বিদ্রোহে ফেটে পড়ল নন্দীগ্রামও।রেশনে চাল কম দেওয়াকে কেন্দ্র করে রীতিমত ধুন্ধুমার কান্ড বেধে গেল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রামে। রবিবার এই অভিযোগে নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের সাঁইবাড়ি গ্রামে এলাকার রেশন দোকানে রবিবার বিক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রাহকরা। বিক্ষোভের চেহারা আর জনতার উগ্রমূর্তি দেখে রেশন দোকান ছেড়ে পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান ডিলার তপন সাউ।
উত্তেজিত জনতা রেশন দোকানটি বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি দোকান মালিকের বাইক ও স্কুটি ভাঙচুর করে উল্টে দেয় খালের জলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ছুটে আসে পুলিশ।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, “রেশন ডিলার তপন সাহু দীর্ঘদিন ধরে রেশন দ্রব্যের ওজনের পরিমাণ কম দিচ্ছিলেন। রবিবার আমরা বেশ কয়েকজন রেশন নেওয়ার পর একটা দোকানে গিয়ে আমাদের রেশনের চাল ওজন করে জানতে পারি প্রায় প্রত্যেকেরই দুই থেকে পাঁচ-ছয় কেজি করে ওজনে কম হচ্ছে। বারবার এইভাবে সাধারণ মানুষদের ঠকানোর কারণে এই বিক্ষোভ।”
রবিবার জনতা প্রশ্ন করে কেন চাল কম দেওয়া হচ্ছে? সদুত্তর দিতে না পেরে মানুষের একের পর এক প্রশ্নে জেরবার হয়ে যায় রেশন ডিলার। বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকে। বেগতিক দেখে ভেতর দিয়ে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান রেশন ডিলার। তখন বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা দোকানের বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেন। উত্তেজনা আরও বাড়তে থাকে। উত্তজিত গ্রাহকরা রেশন দোকানের পাশে রাখা ডিলারের বাইক ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ।
উত্তেজিত জনতাকে বোঝাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকেও। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন এলাকার ভারপ্রাপ্ত খাদ্য পরিদর্শক শশাঙ্ক সর্দার। তিনি গ্রাহকদের কাছ থেকে সরাসরি অভিযোগ শোনেন। তিনি বলেন, “গ্রাহকদের অভিযোগ ক্ষতিয়ে দেখে ডিলারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপাতত গ্রাহকদের দাবি মেনে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রেশন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। প্রত্যেক গ্রাহক তাদের প্রাপ্য রেশন দ্রব্য পাবেন।” এরপরই শান্ত হয় জনতা।