উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরকের কিছু অংশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা: বৃহস্পতিবার নৈহাটিতে বাজি নিস্ক্রিয় করতে গিয়ে বাড়ি ঘরে ফাটল ধরা ও জনরোষের কবলে পড়ে পুলিশ কর্মীদের প্রহৃত হওয়া এবং দুটি পুলিশ ভ্যান জ্বালিয়ে দেওয়ার পর পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে আপাতত তারা বাজি নিষ্ক্রিয়করনের কাজ বন্ধ রাখবে। সেই মত শুক্রবার আর নতুন করে নিস্ক্রিয়করনের কাজ করা হয়নি ঠিকই কিন্তু পুলিশের সমস্যা হল উদ্ধার হওয়া এত বাজি রাখা হবে কোথায়?
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানা গেছে নৈহাটির বাজি কারখানায় বিস্ফোরন ও চারজনের মৃত্যুর পর পুলিশ দেবক এলাকায় যে অভিযান চালায় তাতে ১১ট্রাক বাজি উদ্ধার হয়েছে। মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার তার মাত্র কিছু অংশ নিস্ক্রিয়করন করা সম্ভব হয়েছে। বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর নিস্ক্রিয় করনের কাজ স্থগিত হয়ে যাওয়ায় তাই সমস্যায় পুলিশ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পুলিশের আরও আভিযোগ, বৃহস্পতিবার যে ঘটনা ঘটেছে তার জন্য পুলিশকে দায়ি করা হলেও নিস্ক্রিয়করনের দায়িত্বে পুলিশ নয়, দায়িত্ব ছিল সিআইডির। বিস্ফোরক কে নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে যাওয়া (এই কাজটিও যথেষ্ট ঝুঁকি পুর্ন ), নিষ্ক্রিয়করনের জায়গা নির্বাচন এমনকি নিষ্ক্রিয়করনের কাজটিও করে থাকে সিআইডির বোম্ব স্কোয়াড। বিস্ফোরকের চরিত্র বোঝাও তাদের কাজ। এখানে পুলিশ কার্যত কিছুই করেনা, এলাকায় পাহারা দেওয়ার কাজ ছাড়া। অথচ জনতার পুরো ক্ষোভই এসে পড়ল পুলিশের ওপর।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
যদিও পুলিশের একটা অংশও মনে করছে যে বৃহস্পতিবার নিষ্ক্রিয় করতে যাওয়া বাজি খুব সাধারন বাজি ছিলনা। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ও বুধবার তুলনায় অনেক বেশি বাজি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছিল। সেই তুলনায় বৃহস্পতিবার বাজির পরিমান কম ছিল। ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘এদিন দুটি হাতি গাড়ি ও একটি ম্যাটাডোরে উদ্ধার হওয়া বাজি নিষ্ক্রিয় করার কাজ চলছিল। তাতেই যে পরিমান বিস্ফোরন হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে ওখানে সাধারন বাজি ছিলনা। বাকিটা পরীক্ষার পরই বোঝা যাবে।’
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এমনটা অবশ্য মনে করছেন প্রাক্তন পুলিশকর্তারা থেকে শুরু করে বিরোধি রাজনীতিকরা। তাঁদের কারও কারও মতে কোনও কিছু আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।কোনও কিছু ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে৷ তদন্ত হওয়া উচিত৷ তাছাড়া বাজি নিষ্ক্রিয় করার ক্ষেত্রে একটা তো অসর্তকতা ছিলই৷ পুলিশের গাফিলতিও ছিল৷ যে বাজিগুলি নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছিল,তা বাজি নয়৷ এমনকি সাধারণ বোমাও নয়৷ সাধারণ বোমা বিস্ফোরণ হলে এমনটা হত না৷ নৈহাটিতে বিস্ফোরণ হল আর গঙ্গার ওপারে বাড়ির কাচ ভাঙ্গল৷
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এখন যা অবস্থা তাতে উদ্ধার হওয়া বাজি গুলির চরিত্র নির্ধারন করতে হবে এবং সেই মত নতুন করে জায়গা বেছে নিস্ক্রিয়করনের কাজ করতে হবে। বোম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডই এই কাজ করবে। তবে যতদিন না এই কাজ সম্পুর্ন হচ্ছে ততদিন এগুলো রাখা নিয়ে সমস্যায় রয়েছে পুলিশ।