নিজস্ব সংবাদদাতা: মাসে বেশ কয়েকদিন ছুটিতে অভ্যস্ত হয়ে গেছিলেন সরকারি কর্মচারীরা। বর্তমান সরকার যথেষ্ট মানবিক তাই, নতুন করে চালু হয়েছিল ছট পুজো, জামাই ষষ্টি ইত্যাদির ছুটি। ইংরেজি আমলের সেই বাবুরা অবশ্য লম্বা ছুটি পেলেন লকডাউনে। অন্যান্য ক্ষেত্রের মতই সরকার লকডাউনের কারনে বন্ধ করে দিয়েছিলেন সরকারি অফিস। হোক লকডাউন তবুও সবেতন ছুটি তো ! সোমবার সেই সুখের পালার অবসান, শুরু হচ্ছে নবান্ন। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে দীর্ঘ লকডাউনে একাধিক সরকারি কাজকর্মে বাধা পড়েছিল, অসুবিধায় পড়েছিলেন সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকার ঠিক করলেন, আগামী সোমবার অর্থাৎ ২০ এপ্রিল থেকে রাজ্যের সমস্ত দপ্তরের কাজকর্ম শুরু হবে। তবে সকল কর্মীরাই একসাথে কাজে যোগ দেবেন না। দিনে কেবল ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে সরকারি দপ্তরগুলিতে কাজ হবে।
এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার একটি নির্দেশিকা জারি করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, রাজ্যের প্রতিটি দপ্তরের সচিব ও উচ্চপদস্থ আমলাদের আগামী সোমবার থেকে কাজে বসতে হবে। তবে প্রতিদিন নয়, একদিন অন্তর তারা অফিসে আসবেন। এর পাশাপাশি দপ্তরের কেবল ২৫ শতাংশ কর্মীই কাজ করবেন এক এক দিনে। সেই অনুযায়ী কোন কর্মী কোন দিন আসবেন সেই নিয়ে একটি তালিকা তৈরি করা হবে।
লকডাউনের প্রথম দফায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে কেবলমাত্র ট্রেজারি, পুলিশ, দমকল, কারা বিভাগের মতো অত্যাবশ্যকীয় কাজের সঙ্গে দপ্তরগুলি এখমাত্র খোলা ছিল। এবার এই দ্বিতীয় দফার লকডাউনের সময়ে বাকি দপ্তরগুলিও খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মুখ্যসচিবের এই নির্দেশিকায় বলা নেই, কিভাবে সরকারি কর্মীরা দপ্তর ও বাড়িতে যাতায়াত করবেন। ফলে এই পরিবহণের বিষয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গিয়েছে।
কর্মীদের একটা বড় অংশ বাস আর ট্রেন নির্ভরতায় অফিস করেন। এমনকি পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, হলদিয়া , বর্ধমানের মত দুরবর্তী জায়গা থেকে তাঁদের আসতে হয়। এঁদের কী বাদ দেওয়া হবে আপাতত ? সেরকম কোনও নির্দেশ নেই। ঠিক হয়েছে যে ২৫ শতাংশকে নিয়ে কাজ হবে তাঁদের ঘুরিযে ফিরিয়ে দপ্তরে আসতে বলা হবে। কারা কবে আসবেন ঠিক করবেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বড়বাবু। যাঁরা দুর দূরান্ত থেকে আসবেন তাঁদের প্রতি বড় বাবুর কৃপা হয় কিনা সেটাই এখন দেখার।
কাল থেকেই খুলছে নবান্ন, কিভাবে পৌঁছাবেন অফিসে চিন্তায় ‘বাবু’রা
RELATED ARTICLES