দিঘা: দিঘার হোটেলে হুগলির ডানকুনির ক্ষুদিরাম বসু পল্লীর বছর উনিশের পিয়ালি দেঁড়ের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় তার স্বামী প্রসেনজিৎ দাসকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। পাশাপশি পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে হোটেলের লিজ মালিক কার্তিক জানাকেও। শুক্রবার এদের গ্রেপ্তার করেছে দিঘা পুলিশ।ঘটনায় এদের যোগ থাকতে পারে বলে মনে করছে তারা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বুধবার দিঘার মহাপ্রভূ হোটেল থেকে উদ্ধার হয়েছিল পিয়ালির ঝুলন্ত দেহ । দুটো হাত সামনের দিকে রুমাল দিয়ে বাঁধা। পাশে চারবছরের ছেলে মোবাইলে গেম খেলছিল। ঘটনাটি যে খুনের এটা প্রথম থেকেই ধরে নিয়েছিল পুলিশ কারন পিয়ালি গলায় ওড়না নিয়ে ঝুলে থাকলেও তার হাত দুটো সামনের দিকে বাঁধা ছিল। পিয়ালির ছেলেও পুলিশকে জানিয়েছিল রাতে তাদের হোটেলের ঘরে একজন লোক এসেছিল যাকে সে চেনে কিন্ত নাম জানেনা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পিয়ালির বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল স্বামীর বন্ধুর সাথে। ১০তারিখ সে ছেলেকে ঘর ছাড়ে। কিন্ত মঙ্গলবার হোটেল থেকে সে তার বোনকে ম্যাসেজ করে যে সে খুন হয়ে যেতে পারে। সেই ম্যাসেজ পেয়ে পিয়ালির পরিবার হুগলির ডানকুনি থানায় হাজির হয় পরের দিন সকালেই। আর সেই থানাতে থাকার সময় দিঘা থানা থেকে ডানকুনি থানায় খবর যায় যে পিয়ালি খুন হয়েছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ঘটনায় পিয়ালির পরকীয়া প্রেমিক অভিজিৎ পালের প্রত্যক্ষ যোগের কথা আগেই জানিয়েছিল পুলিশ।তল্লাশি শুরু হয়েছে তাঁর খোঁজে।কিন্তু এর মধ্যে স্বামী প্রসেনজিৎয়ের গ্রেপ্তার রহস্যকে আরও জটিল করে তুলল। তাহলে কি শুধুই পরকীয়া নয়, আরও কোনও গভীর রহস্য রয়েছে যার মধ্যে প্রসেনজিৎ অভিজিৎ যুক্ত ছিল ! পিয়ালি কি এমন কিছু জেনে গেছিল যা তার স্বামী এবং প্রেমিকের পক্ষে বিপজ্জনক?
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মুখ খুলছে না পুলিশ তবে রহস্য আরও জটিল হয়েছে হোটেল মালিকের গ্রেপ্তারে। দিঘার হোটেলে খুন , আত্মহত্যা নতুন কিছু নয় তাতে সচরাচর হোটেল মালিকরা গ্রেপ্তার হয়না। প্রশ্ন উঠেছে নির্জন, মাত্র দু-কামরার হোটেল যেখানে সিসিটিভি নেই , নিরপত্তা রক্ষী নেই , কেউ কি পিয়ালিকে এই হোটেলে থাকার জন্য বলেছিল ? পিয়ালির স্বামী , প্রেমিক , হোটেল মালিক কি কোনো কারনে এক সুত্রে বাঁধা ? জট ছাড়াচ্ছে পুলিশ ।