অশ্লেষা চৌধুরী: শীতলকুচি কাণ্ডের জের; রাজ্যে আসছেন আরও ১১ জন পুলিশ পর্যবেক্ষক। ফলে রাজ্যে মোট পুলিশ পর্যবেক্ষকের সংখ্যা ৫৫ থেকে বেড়ে হল ৬৬ জন। কমিশন সূত্রে খবর, প্রয়োজনে এক কেন্দ্রে একাধিক পর্যবেক্ষক নিয়োগ করতেই এমন সিদ্ধান্ত। এর ফলে শুরুতেই থামানো যাবে যাবতীয় উত্তেজনা, দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে কমিশন।
কমিশন সূত্রে খবর আগামী দফাগুলোতে নিরাপত্তার দিক থেকে কোনও রকম ফাঁকফোকর রাখতে নারাজ কমিশন, তাই ঠিক হয়েছিল রাজ্যে নতুন ২০ জন পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্তে কিছুটা বদল এনে ১১ জন পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হল। পাশাপাশি ৩৩ জন জেনারেল অবজার্ভার, ১৬ জন এক্সপেন্ডিচার অবজার্ভার থাকছেন।
উল্লেখ্য, সাধারণত এক জন পুলিশ পর্যবেক্ষকের আওতায় থাকে ৩ থেকে ৫টি বিধানসভা কেন্দ্র। কখনও কখনও সেই সংখ্যাটা ৬ হয়। মনে করা হচ্ছে বিধানসভা অনুয়ায়ী তাঁদের দায়িত্ব যেমন কমবে তেমনই বাড়বে নজরদারি। সব মিলিয়ে ৬৬ জন পুলিশ পর্যবেক্ষক থাকবেন। সূত্রের খবর, পঞ্চম দফার নির্বাচনের পর বাকি দফাগুলিতেও সংশ্লিষ্ট পুলিশ অবজার্ভাররা থাকবেন।
প্রসঙ্গত, গত ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণে কোচবিহারের শীতলকুচিতে ৫/১২৬ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় ৪ জন স্থানীয় যুবকের, গ্রামবাসীদের হামলা থেকে বাঁচতেই গুলি চালায় বাহিনী বলে প্রকাশ। তবে সেই ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাঠগড়ায় তুলেছে তৃণমূল। পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে হিংসায় প্ররোচনা ও উস্কানিমূলক মন্তব্য় দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। একই কারণে মুতাকে শোকজ করার পাশাপাশি তাঁর প্রচারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করে কমিশন।
কিন্ত বাকি দফার নির্বাচনে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না কমিশন, সেই কারণেই অতিরিক্ত ১১ জন পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করছে কমিশন। পাশাপাশি, সূত্র মারফত এও জানা গিয়েছে, পঞ্চম দফায় ৫০% বুথে ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। তার সঙ্গে থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা এবং ভিডিওগ্রাফি। প্রথম চার দফা নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে নির্বাচন কমিশন পঞ্চম দফার সমস্ত বিষয় নিয়ে বেশ সচেতন রয়েছে বলেই খবর।