Homeঅন্যান্যদেশ জুড়ে লাগামহীন করোনা সংক্রমণ; শেষ ২৪ ঘন্টায় করোনার বলি ৪ হাজারেরও...

দেশ জুড়ে লাগামহীন করোনা সংক্রমণ; শেষ ২৪ ঘন্টায় করোনার বলি ৪ হাজারেরও বেশি

নিউজ ডেস্ক: দেশে করোনার সংক্রমণের কারণে প্রতিদিন চার হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। এ পর্যন্ত দুই লক্ষ ৫৮ হাজারেরও বেশি করোনার রোগী প্রাণ হারিয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘন্টায় ৩৬২,৭২৭ নতুন করোনার কেস এসেছে এবং ৪,১২০ সংক্রামিত মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ৩,৫২,১৮১ জন লোকও করোনা যুদ্ধে জয়ী হয়েছেন। এর একদিন আগে মঙ্গলবার ৩,৪৮,৪২১ টি নতুন কেস এসেছে।

১২ ই মে অবধি সারা দেশে ১৭ কোটি ৭২ লক্ষ ১৪ হাজার ২৫৬ করোনার ডোজ দেওয়া হয়েছে। বুধবার দিন ১৮ লাখ ৯৪ হাজার ৯৯১ টি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে, এ পর্যন্ত ৩১ কোটি পরীক্ষা করা হয়েছে। গত দিন, ১৮.৬৪ লক্ষ করোনার পরীক্ষা করা হয়েছিল, যার পজিটিভ হার ১৯ শতাংশের বেশি।

গত ২৪ ঘন্টার পরিসংখ্যান অনুযায়ী করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি-

মোট করোনার কেস – ২ কোটি ৩৭ লক্ষ ৩ হাজার ৬৬৫ টি।
মোট টেস্ট – ১ কোটি ৯৭ লক্ষ ৩৪ হাজার ৮২৩ জন।
মোট সক্রিয় মামলা – ৩৭ লক্ষ ১০ হাজার ৫২৫ টি।
মোট মৃত্যু – ২ লক্ষ ৫৮ হাজার ৩১৭ জন

দেশে করোনার মৃত্যুর হার ১.০৯ শতাংশ এবং পুনরুদ্ধারের হার ৮৩ শতাংশেরও বেশি। সক্রিয় কেস প্রায় ১৬ শতাংশ বেড়েছে। করোনার অ্যাক্টিভ মামলায় ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। সংক্রামিত মোট সংখ্যার দিক থেকেও ভারত দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। আমেরিকা ও ব্রাজিলের পরে ভারতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘন্টায় করোনার ৪৬,৭৮১ টি নতুন কেস এসেছে এবং গতকাল ৮১৬ জন মারা গেছেন। রাজ্যে সংক্রমণের মোট সংখ্যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২,২৬,৭১০, আর মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮,০০৭। রাজ্যে, ৫৮,৮০৫ রোগীদের পুনরুদ্ধারের পরে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল, এখন পর্যন্ত নিরাময়ে আসা লোকের সংখ্যা ৪৬,০০,১৯৬ এ উন্নীত হয়েছে। এখন ৫,৪৬,১২৯ রোগীর চিকিৎসা করা হচ্ছে। রাজ্যে সংক্রমণের হার ১৭.৩৬ শতাংশ। মুম্বাই শহরে নতুন সংক্রমণের ২,১০৪ টি নতুন কেস এসেছে।

অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত ২০ হাজার ৩৭৭ জন এবং মৃতের সংখ্যা ১৩৫ জন। রাজ্যে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৬৮৪ জনে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন মতে, গত ১ দিনে রাজ্যে করোনা মুক্ত হয়ে উঠেছেন ১৯ হাজার ২৩১ জন। সংক্রমণের সংখ্যার মতোই সুস্থতার পরিসংখ্যানের বিচারে যা সর্বোচ্চ। এই মুহূর্তে রাজ্যে সুস্থতার হার পৌঁছে গিয়েছে ৮৬.৫৭ শতাংশে।

RELATED ARTICLES

Most Popular