নিজস্ব সংবাদদাতা: অসম সরকার আইন প্রণয়ন করেছে দুই সন্তানের মাতা-পিতারা পাবেননা কোনও সরকারি প্রকল্পের সুযোগ, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেননা নির্বাচনে। একই আইনের পথে উত্তরপ্রদেশের যোগী রাজ্যও। এই নীতি ঠিক অথবা ভুল যাই হোকনা কেন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ যে এই দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা এ বিষয়ে কোনোরকম দ্বিমত নেই। সরকারি স্তরে এ নিয়ে প্রচারের অভাব না থাকলেও কাজের কাজ যে সেভাবে হয়না কিছুই সেটা জনগণনার ফল আসলেই সেটা প্রতিবার পরিষ্কার হয়ে যায়।কিন্তু এরকমই এক পরিস্থিতিতে এই দেশেরই মিজোরামে রাজ্যের এক মন্ত্রী সর্বাধিক সন্তানের জন্য নগদ পুরস্কারের ঘোষণা করলেন। যে নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা দেশে।
গত রবিবার গোটা বিশ্বজুড়ে ‘ফাদার্স ডে’ পালিত হয়েছে । আর সেই উপলক্ষেই এই ঘোষণা করেছেন মিজোরামের ক্রীড়ামন্ত্রী রবার্ট রোমাইয়া রয়তে। তিনি আইজল পূর্ব-২ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক।তাঁর ঘোষণা অনুসারে তাঁর বিধানসভা ক্ষেত্রে যে পরিবারের সন্তানসংখ্যা সর্বাধিক থাকবে তাদের তিনি পুরষ্কার দেওয়া কথা জানিয়েছেন। কিন্তু সেই সন্তানদের সংখ্যা সর্বাধিক কত হতে পারে, সে বিষয়ে খোলসা করেননি।
কিন্তু কেন এমন অদ্ভুত ঘোষণা তাঁর? আসলে গোটা দেশের নিরিখে মিজোরামের জনঘনত্ব অনেকটাই কমে। গোটা দেশে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৩৮২ জন বাস করেন, সেখানে মিজোরামের জনঘনত্ব মাত্র ৫২! রবার্ট জানাচ্ছেন, ‘‘বন্ধ্যাত্বের হার ও কমতে থাকা জনঘনত্ব বহু বছর ধরেই রাজ্যের উদ্বেগের অন্যতম বিষয়।’’ আর সেই কারণেই এমন ঘোষণা করলেন তিনি। সেই সঙ্গে মিজোরামের ক্রীড়ামন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরই ছেলে যে উত্তর-পূর্বের পরামর্শদাতা সংস্থার মালিক, সেই সংস্থাই ১ লক্ষ টাকার পুরস্কারমূল্যটি স্পনসর করবে।
প্রসঙ্গত, আই লীগের দল আইজল এফসি-র মালিক রবার্টের ক্লাবেরও প্রধান স্পনসরও ওই সংস্থাই।২০১১ সালের জনগণনার হিসেব অনুযায়ী মিজোরাম ভারতের সবচেয়ে কম জনসংখ্যার দ্বিতীয় রাজ্য। মাত্র ১০ ৯১ লক্ষ লোক এখানে বাস করেন। রাজ্যের আয়তন প্রায় ২১ হাজার বর্গ কিমি। এর ৯১ শতাংশই ঘন জঙ্গল।