নিজস্ব সংবাদদাতা: লক্ষ্য ভ্রষ্ট হয়ে চাষের জমিতে বোমা ফেলেছে বায়ুসেনা আর সেই বোমার খোঁজে এখন লণ্ডভণ্ড করা হচ্ছে চাষের জমি। সবে মাথা তুলেছে কচি কচি ধানের চারা। জল, সার আর কীটনাশক দিয়ে সে সব এখন লালন পালন করার কথা কিন্তু কোথায় কি! এখন কয়েকশ বর্গ মিটার ঘিরে রেখে বোম পড়ার জায়গায় মাটির নিচের দিকে ১০ফুট গর্ত করেও খোঁজ মেলেনি কয়েক টন ওজনের বোমের। এখন নাকি আরও গভীরে গর্ত করার পরিকল্পনা চলছে। ফলে এ মরসুমে আর চাষ হবে কিনা সন্দেহ আর তার চেয়েও বড় কথা জমি আদৌ জমি থাকবে না ডোবায় পরিনত হবে ।
পুলিশের সূত্রে জানা গেছে জল ভর্তি চাষের নরম জমিতে আকাশ থেকে মাটিতে পড়ে অন্তত ২০ফুট গভীরে চলে গেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। যে কারনে চল্লিশ ঘন্টা পরেও হদিস মেলেনি তার আর সেকারনেই আরও গভীর করে গর্ত খোঁড়া হচ্ছে। আর এই কাজ চালাতে গিয়ে নিরপত্তার কারনেই কিছুটা চাষের জমি ঘিরে রাখতে হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে এর জন্য বায়ুসেনার তরফে ক্ষতিপুরন দেওয়া হবে। যদিও ক্ষতিপূরনের আশ্বাসে মন গলছে চাষির। কারন ক্ষতিপূরন হয়ত একটা চাষের জন্য পাওয়া গেল। বর্তমানে যে জায়গায় বোমা পড়া ও তাকে তোলার জন্য গভীর ও চওড়া গর্ত হচ্ছে সেই জায়গা সহজে ভরাট হওয়ার নয়। চাষের জমির প্রয়োজনীয় চরিত্র ফিরে আসতে অনেক বছর সময় লাগবে।
উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার ভারতীয় বায়ুসেনার কলাইকুণ্ডা বিমান ঘাঁটি থেকে উড়ে আসা একটি বোমারু বিমান ভুল করে দুধকুণ্ডি বোমা বর্ষণ এলাকার পরিবর্তে ১কিলোমিটার দুরে গিয়ে সাঁকরাইল থানার রাজবাঁধ গ্রামের চাষের জমিতে বোমা ফেলেছিল। লোকালয় থেকে মাত্র ৫০০মিটার দুরে বোমাটি পড়ায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পায় ৬০০জনের বসতির ওই গ্রামটি।