নিজস্ব সংবাদদাতা: কথায় আছে মূর্তি শহর মেদিনীপুর। একটা শহরে এত মূর্তি সচরাচর আর কোথাও নজরে পড়েনা। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়কাল থেকে আজ অবধি মেদিনীপুরবাসী শহরের প্রাণকেন্দ্রে একটু স্থান খুঁজে বেড়ান প্রিয় ব্যক্তিত্বের মূর্তি স্থাপনের জন্য। যদিও পাশাপাশি এটাও ঘটনা যে এই শহরে মূর্তি স্থাপনে যতটা আগ্রহ লক্ষ্য করা যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ততটা আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়না মূর্তিগুলির রক্ষণাবেক্ষণে। অনেক ক্ষেত্রেই এই দায়িত্ব তাই নিতে হয় বিভিন্ন সংস্থাকে।
এমনই একটি সংগঠন মেদিনীপুর সমন্বয় সংস্থা এগিয়ে এলেন শহরের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা মূর্তিগুলির চারপাশ আগাছা মুক্ত করার কাজে। বর্ষার প্রথম ধারাতেই মূর্তিগুলির চারপাশ ঢেকে যাচ্ছে আগাছায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা শাসকের কার্যালয়ে প্রবেশ মুখেই কালেক্টরেট মোড়ে প্রতিস্থাপিত শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর আবক্ষ মূর্তির চারপাশ আগাছা মুক্ত করার মধ্যে দিয়েই শুরু হল সেই কাজ। বুধবার সকালে ক্ষুদিরাম মূর্তি সংলগ্ন এলাকাটিকে পরিচ্ছন্ন করার কাজে হাত লাগলেন মেদিনীপুর সমন্বয় সংস্থার সদস্যরা।
এই কাজে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মেদিনীপুর শহর আঞ্চলিক ইউনিটের উদ্যোগে সংস্থার বর্ষীয়ান মুখ্য উপদেষ্টা অধ্যাপক মন্টু রাম জানা। সঙ্গে ছিলেন ইউনিটের সহকারী সম্পাদক অমিতাভ দাস, সংস্থার কোষাধ্যক্ষ ডাঃ অরূপ কুমার দাস, সংস্থার কার্য্যকরী কমিটির দুই সক্রিয় সদস্য সমাজকর্মী শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়া ও শিক্ষক বিশ্বজিৎ সাহু প্রমুখরা। অধ্যাপক জানা জানিয়েছেন, ‘শুধুই প্রকৃতির আগাছা নয়, মানুষের তৈরি আগাছাও আজ আড়াল করছে মানুষের শ্রেষ্ঠ মণীষাদের। বিজ্ঞাপন ঢেকে দিচ্ছে স্বাধীনতা সংগ্রামের ঐতিহ্যকে। এরচেয়ে লজ্জার কী আছে?’
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, একে একে শহরের সমস্ত জায়গাতেই এই অভিযান চালানো হবে। এদিন আগাছা পরিষ্কার করার পর মূর্তির পাদদেশ সংলগ্ন অঞ্চলে আঞ্চলিক ইউনিটের পক্ষ থেকে ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো হয়। সাফাই শেষে শ্রদ্ধা জানিয়ে ক্ষুদিরাম মুর্তিতে মাল্যদানও করা হয়।