Homeএখন খবরবিদ্যাসাগরের নামেও যে ছবি ভাইরাল হলনা আজও

বিদ্যাসাগরের নামেও যে ছবি ভাইরাল হলনা আজও

লাজুক চোখে নতুন মা কে দেখছে শম্ভু 

নিজস্ব সংবাদদাতা: অতি সম্প্রতি বাজারে ভাইরাল হয়ে লাখো লাখো মানু্ষের কাছে পৌঁছে গেছে এক সেলিব্রেটির বিয়ের ছবি। সেলিব্রিটিদের বিয়ের ছবি এমনিতেই ভাইরাল হয়, দ্বিতীয় বিয়ে হলে আরও বেশি ভাইরাল হয় কারন দ্বিতীয় বিয়ের খুশির আড়ালে মানুষ সেলিব্রিটির অন্দরমহলে উঁকি দিয়ে প্রথম বিয়ের অখুশি গুলো খুঁজতে চায়। আমরা যে সম্প্রতি ছবির কথা বলছি সেটি পরিচালক সৃজিত আর অভিনেত্রী মিথিলার  বিয়ের ছবি। এ ছবিটি আরও বেশি ভাইরাল হওয়ার কারন এ ছবিতে অভিনেত্রী মিথিলার প্রথম পক্ষের মেয়ের ছবি রয়েছে যে হাসি হাসি মুখে মায়ের দ্বিতীয় বিয়েটিকে বেশ উপভোগ করছে।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ঘটনাক্রমে ঠিক একই রকম আরও একটি ছবি ওই সময় আমাদের কাছে এসে পৌঁছেছিল মেদিনীপুর ডট ইন নামক একটি সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে। সেই ছবিটিও দুই পুরুষ ও মহিলার দ্বিতীয় বিয়ের ছবি। এবং সেখানেও হাসি হাসি মুখে বাবার দ্বিতীয় বিয়েকে উপভোগ করতে দেখা গেছে এক নাবালককে।

কোটি টাকার হাসি ফোটালো মেদিনীপুর ডট ইন 

মেদিনীপুর ডট ইনের পক্ষ থেকে ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোষ্ট করাও হয় কিন্তু এ ছবি ভাইরাল হয়নি। পাতি নিম্নবিত্ত পরিবারের পাত্র-পাত্রীর অন্দর মহলে উঁকি দিয়ে বাঙালি আগের বিয়ের অসুখ বা দ্বিতীয় বিয়ের খুশি খুঁজতে যায়নি। অমন ‘কত্ত’ হয় বলে বাঙালি এড়িয়ে গেছে।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অথচ সত্যি পাতি নিম্ন বিত্তের ঘরে  এমনটা প্রায়ই হয়না। করিনা কাপুর, বিদ্যাবালান, শ্রাবন্তী, জুন মালিয়া কিংবা মিথিলা প্রভৃতি  সেলিব্রেটিদের মুড়ি মুড়কির মত বিয়ে এখানে হয়না। আর বিদ্যাসাগরের নামে তো একেবারেই নয়। হ্যাঁ, মনে আছে তো সময়টা বিদ্যাসাগরের জন্মের দ্বিশত বর্ষ? অবশ্য মনে না থাকার কারন নেই। লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই বিদ্যাসাগর কলেজে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা নিয়ে যে দ্বিদলীয় ম্যাচ এবং অমীমাংসিত ম্যাচ হয়ে গেছিল তাতেই বিদ্যাসাগর অনেকটা বাজার পেয়ে গেছেন।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সেই বিদ্যাসাগরের প্রবর্তিত বিধবা বিবাহকে স্মরণ করেই তাঁর শুরু করা প্রথম বিধবা বিবাহ দিনটিকে স্মরনীয় করতে একটি বিধবা বিবাহের আয়োজন করেছিল মেদিনীপুর ডট ইন। ১৮৫৬ সালের ৭ই ডিসেম্বর বাবু রাজকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে  ঈশ্বরচন্দ্র  বিদ্যাসাগর-এর উপস্থিতিতে প্রথম বিধবা বিবাহের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। আজ সেই দিনটিকে মাথায় রেখেই   মিডনাপুর ডট ইন (midnapore.in) -এর উদ্যোগে এক বিধবা বিবাহ অনুষ্ঠিত হল ১৬৩বছর পর, বিদ্যাসাগরের জন্মভূমি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেই।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মিডনাপুর ডট ইনের কর্ণধার অরিন্দম ভৌমিক জানান, ”পাত্রের নাম স্বপন ঘোড়াই, বাড়ি মেদিনীপুর শহরের ঝর্নাডাঙ্গা’য়। দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলের নাম পুলু এবং ছোট ছেলের নাম শম্ভু। পাত্রীর নাম স্বাথী প্রামানিক, বাড়ি লালগড়ের সোনাকড়া গ্রাম। পাত্রীর আগের পক্ষের কোন সন্তান নাই। নতুন মাকে পেয়ে খুশি শম্ভু।”

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বিদ্যাসাগরের সেই প্রথম বিবাহ অনুষ্ঠানের স্মারক ছবির পটভূমিতেই পেশায় বিদ্যুৎ কর্মী ৩২বছরের স্বপন বরন করে নেয় ২০বছরের সাথীকে।
আর পাঁচটা সংগঠনের মতই মিডনাপুর ডট ইন বিদ্যাসাগরের জন্ম দ্বিশতবর্ষ পালন করছে এমনটা ভাবা একটু ভুলই হবে। তারও একটু আগে গিয়ে তাঁরা তুলে আনছেন বিদ্যাসাগরের কর্মকাণ্ড গুলিকেও। তাই এই বিধবা বিবাহ দিতে গিয়ে রীতিমত ঘাম ঝরাতে হয়েছে তাঁদের। হন্যে হয়ে খুঁজতে হয়েছে যোগ্য পাত্র পাত্রী। তারপর দুই পক্ষ পছন্দ , মতামত বিনিময়ের পর বিয়ে। বাঙালি এ বিয়ের মর্ম বোঝেনা বোধহয়, তাই ভাইরাল হয়না। তা না হোক, যদি এমন কোনও জুটির সন্ধান পান খবর দিতে পারেন মিডনাপুর ডট ইনকে।

RELATED ARTICLES

Most Popular