Homeএখন খবরকরোনা সংক্রমন কমছে তাই বন্ধ করে দেওয়া হল মেদিনীপুরের একটি করোনা হাসপাতাল

করোনা সংক্রমন কমছে তাই বন্ধ করে দেওয়া হল মেদিনীপুরের একটি করোনা হাসপাতাল

নিজস্ব সংবাদদাতা: পুজোর পর থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় করোনা সংক্রমন ক্রমাগত কমতে থাকায় জেলার একটি করোনা হাসপাতাল আপতত বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। শনিবার থেকেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে হাসপাতালটি। করোনার বাড়বাড়ন্ত সময়কালে মেদিনীপুর শহরের তাঁতিগেড়িয়াতে তৈরি হওয়া ওই হাসপাতালে ডেপুটেশনে থাকা কর্মরত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিজ নিজ কর্ম ক্ষেত্রে ফিরে যেতে বলা হয়েছে।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী জানান, “ওই স্যাটেলাইট হাসপাতালটিতে যেহেতু গত ১৫ দিন ধরে কোন রোগী আসেনি তাই আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে আবার চালু করা হবে।” এ ব্যাপারে জেলা শাসকের অনুমতি পাওয়ার পরই এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে জেলায় উপসর্গযুক্ত ও উপসর্গহীন করোনা রোগীদের জন্য মোট ৬টি করোনা হাসপাতাল এবং সেফ হোম ছিল এরমধ্যে ওই স্যাটেলাইট হাসপাতাল ও ডেবরাতে কোনোও রোগি নেই। যেহেতু তাই স্যাটেলাইট কেন্দ্রটি কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত নয়। ওখানে আলাদা করে অন্য হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে কর্মী বাহিনী নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাই ওটা বন্ধ করে দেওয়া হল। ওখানকার চিকিৎসাকর্মীরা নিজের জায়গায় ফিরে গেলে সেখানকার চিকিৎসার চাপ কমবে।

জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী শুক্রবার জেলায় ৬৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, বৃহস্পতিবার ৫৫ জন।  বুধবার ৫০, মঙ্গলবার ৭৮, সোমবার ৪৫, রবিবার ২৫, শনিবার ৪৩ জন আক্রান্ত হয়ে ছিলেন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪৮ জন। আয়ুশ করোনা হাসপাতালে ১৮, শালবনি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ২২ জন, ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে  ৫ জন, খড়গপুর সেফ হোমে ৩ জন। আগেই বলা হয়েছে যে ডেবরা ও তাঁতিগেড়িয়ার স্যাটেলাইট হাসপাতালে কোনো রোগী নেই। উল্লেখ্য মৃদু উপসর্গ যুক্ত আক্রান্তদের জন্যই একটি পৃথক পরিকাঠামো যুক্ত ওই হেলথ ফেসিলিটি স্যাটেলাইট হাসপাতাল অস্থায়ীভাবে তৈরি হয়েছিল মাস খানেক আগে।

স্বাস্থ্য দপ্তরের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী জেলায় এ অবধি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৪৪৯জন। মৃত্যূ হয়েছে ২২৫ জনের। জেলায় করোনা সুস্থতার হার ৯৫ শতাংশ, মৃত্যুর হার ১.৫ শতাংশ। জেলায় হোম আইসোলেশন এ রয়েছে ৫৪৭ জন, সেফ হোমে ৮ জন, জেলায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২২৫ জনের। জেলায় মোট কোয়রান্টিন সেন্টার রয়েছে ৪৫ টি।

RELATED ARTICLES

Most Popular