নিউজ ডেস্ক: জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন জায়গায় মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন করা হবে বলে জানালেন উত্তরবঙ্গের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক ওএসডি ডাঃ সুশান্ত রায়। পাশাপাশি করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার আগেই স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে সমস্ত ধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন তিনি। বর্তমান করোনা পরিস্থিতির জন্য মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোনের সম্ভাবনার কথা আগেই জানিয়েছিলেন তিনি। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে একটি নির্দেশিকা তাদের কাছে এসেছে বলে জানান। বৃহস্পতিবার বিকেলে এই নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। জেলার কোন কোন জায়গায় মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন করা হবে সেই বিষয়ে বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। বলেন, এই মুহূর্তে জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতাল মোট ৮৩ জন করোনা রোগী ভর্তি রয়েছেন। উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলা গুলিতে সংক্রমনের পরিমাণ অনেকটা নিচে নামলেও জলপাইগুড়িতে সংখ্যাটা এখনো অনেক বেশি রয়েছে। এ ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, শহরের বিভিন্ন বাজার ঘাটে ভিড় কমছে না। এ নিয়ে সাধারণ মানুষকে আরও বেশি সচেতন হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। সকলকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ করেছেন ডাঃ সুশান্ত রায়।
গত মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্যসচীব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী সব জেলাশাসক ও কলকাতা পুরনিগমের কমিশনারকে চিঠি দিয়েছিলেন।মুখ্যসচীব তার চিঠিতে স্পষ্ট জানিয়েছিলেন স্থানীয়ভাবে কোথায় কোথায় হটস্পট হচ্ছে তা খুঁজে বের করতে হবে।কনটেনমেন্ট জোন এবং মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করে নজরদারি চালাতে হবে।করোনা পরীক্ষা ও টেস্টিং ও এই এলাকাগুলিতে খুব তাড়াতাড়ি করতে হবে।মুখ্যসচীব তার চিঠিতে উল্লেখ করেছিলেন গত কয়েক সপ্তাহে সংক্রমণ কম থাকলেও সতর্ক থাকা প্রয়োজন।