ওয়েব ডেস্ক : নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্যে এসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার রাতেই শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী ব্যানার্জির সাথে বৈঠক সেড়েছেন অমিত শাহ৷ বাংলা সফরের দ্বিতীয়দিনে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দিয়েই পূর্ব–নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী শুক্রবার সংগীতশিল্পী পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর বাড়িতে গেলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে স্বাগত জানান পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী। এদিন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর সংগীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শ্রুতিনন্দনেও যান অমিত শাহ। তবে এদিন শুধুমাত্র অমিত শাহ নন, তাঁর সঙ্গে পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে যান বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তবে নির্বাচনের আগে আচমকা পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীর বাড়িতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আগমণ শুধুমাত্রই সৌজন্য সাক্ষাৎ নয় বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। গোটা দেশ তথা বিশ্বের পরিচিত মুখ অজয় চক্রবর্তী, সেক্ষেত্রে তাঁর নিজস্ব পরিচিতির কারণে কোনোভাবে তাকে নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবিরে টানতেই এদিনের বৈঠক হতে পারে বলেও অনুমান করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, এদিন টালিগঞ্জের গলফ ক্লাব রোডে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর সংগীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শ্রুতিনন্দনের সামনে অমিত শাহকে স্বাগত জানান পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন অর্জুন সিং এবং সব্যসাচী দত্ত। তবে আচমকা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পন্ডিতজির সাথে সাক্ষাতে কেন আসছেন? এবিষয়ে তিনি স্পষ্ট জানান, “আমি রাজনীতির মানুষ নই। আমি সংগীত জগতের মানুষ। এখানে কোনও রাজনীতির যোগ নেই। এখানে প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামও এসেছিলেন। আর ব্যবস্থা বলতে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন রয়েছে। উনি করতে চাইলে করতে পারেন।” পাশাপাশি অমিত শাহ যে নিজের ইচ্ছেতেই তাঁর সাথে দেখা করতে আসছেন তা স্পষ্ট করে পন্ডিতজি জানান, “একজন বিশিষ্ট বড়মাপের মানুষ আমার বাড়িতে আসছেন এটা জেনেই আমি খুব খুশি। তাছাড়া আমি তো আমন্ত্রণ করিনি। আসতে চেয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আমি তাঁকে স্বাগত জানাব।”
প্রসঙ্গত, শুক্রবার একাধিক দলীয় কর্মসূচির আগে দক্ষিণেশ্বরে পুজোর দেন অমিত শাহ৷ এরপর দক্ষিণেশ্বরে দাঁড়িয়েই অমিত শাহ বলেন, “বাংলা ভক্তি আন্দোলনের পীঠস্থান। মহান মণীষীদের জন্ম এই পূন্যভূমিতে। বাংলা সেই হারানো গৌরব ফিরে পান সেই প্রার্থনাই তিনি ভবতারিণীর কাছে জানিয়েছেন। বাংলাবাসীকে বলব একজোট হয়ে দায়িত্ব পালন করুন। মা কালীর কাছে গোটা দেশ তথা বাংলার মঙ্গল কামনা করেছি। মোদীর নেতৃত্বে দেশ এক নম্বরে পৌঁছক তাই চাই।”