চুলের পরিচর্যা, ফুলের পরিচর্যার চেয়ে কম নয় আয়ুর্বেদাচার্য্য ডা: মেঘনা মণ্ডল
(2nd year MD scholar(Ayurveda Samhita & Siddhanta),I.P.G.A.E & R at S.V.S.P)
কথাটা কথার কথা নয়, একেবারে খাঁটি কথা। যেভাবে একটি গাছ থেকে ভাল ফুল পেতে পারেন ঠিক সেই ভাবেই যত্ন নিতে হয় ভাল চুল পেতে। যেমন ভালো ফুল পেতে গাছের পরিচর্যা দরকার তেমনই দরকার চুলের পরিচর্যা। তাই গোড়া থেকেই শুরু করা যাক। চুল সহ শরীরের সবকিছুই গঠন ও রক্ষার দায়িত্ব আমাদের আহার-বিহার -এর।তাই উপযুক্ত জীবন যাপন প্রনালী খুব গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথমেই খাবার দাবারের কথায় আসি।আয়ুর্বেদ মতে খাওয়া দাওয়া করা উচিৎ পুষ্টির দিকে নজর দিয়ে নয় আপনার হজম শক্তির উপর নজর দিয়ে।কারণ হজম শক্তি যদি ঠিক না থাকে তাহলে পুষ্টি শরীর নিতে পারে না।তাই খিদে না পেলে খাবেন না।আর কখনোই পেট ভর্তি করে খাবেন না।
আপনার যদি মনে হয় আপনার হজম শক্তি দুর্বল সে ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই আয়ুর্বেদ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।এরপরেই আসে জল পানের কথা। অনেকের মতে দিনে ৭/৮ গ্লাস জল খাবার কথা বললেও আয়ুর্বেদের মতে অতিরিক্ত জল পান অজীর্ণ হবার কারণ।তাই আপনার শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী তেষ্টা পেলে জল খান।এক্ষেত্রেও বলব আপনার যদি মনে হয় তেষ্টা কম বা বেশি পাচ্ছে তাহলে উপযুক্ত আয়ুর্বেদ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।আর খেয়াল রাখবেন খিদের সাথে তেষ্টা পাচ্ছে কিনা।খিদে পেলে তেষ্টা পাওয়াটা সুস্থতার লক্ষন।
এরপর চুলের বাহ্যিক যত্নের কথা বলি,চুলে বাজার চলতি শ্যাম্পু না লাগিয়ে রিঠা,আমলকি দিয়ে চুল পরিষ্কার রাখুন।সপ্তাহে ২দিন এটা ব্যবহার করতে পারেন।আর চুলের জন্য নারকেল তেল সবথেকে ভালো।অনেকে তেল গরম করে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে থাকেন।এটা করাটা বিশেষ যুক্তিযুক্ত নয়। পুরো চুলে সাধারণ নারকেল তেল মাখুন।ধুলো বালি আর দূষণ চুলের ক্ষতি করে,সাবধান থাকুন। চুলের যত্ন নিন সম্পূর্ন আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে। কারন বাজার চলতি শ্যাম্পু, তেল ইত্যাদির মধ্যে নানা রকম রাসায়নিক থাকতে পারে। চুলের খুব বেশি সমস্যা হলে আয়ুর্বেদ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।