ওয়েব ডেস্ক : হাথরস কাণ্ডে গত দু’দিন ধরে একাধিকবার চেষ্টা করলেও নির্যাতিতার গ্রামে কাউকেই প্রবেশ করতে দিচ্ছে না উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। গ্রামের বাইরে বিশাল ব্যারিকেডের ব্যবস্থা করেছে পুকুশ। এমনকি সাংবাদিকদেরও ভিতরে প্রবেশের অনুমতি মেলেনি গত দু’দিনে৷ এর জেরে দেশজুড়ে ইতিমধ্যেই ক্ষোভের স্বীকার হয়েছেন যোগী সরকার। বিভিন্ন মহলের চাপের মুখে পড়ে অবশেষে যুবতীর বাড়ির সামনের ব্যারিকেড তুলল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ৷ অতঃপর নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে গ্রামের ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হল সংবাদমাধ্যমকে৷ শনিবার সংবাদমাধ্যমের তরফে নির্যাতিতার বাড়ি যাওয়া হলে সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলেন নির্যাতিতার পরিবার।
এদিন তাঁরা সাংবাদিকদের স্পষ্ট জানান, তাঁরা চান সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে তাঁদের মেয়ের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্ত হোক৷ একই সঙ্গে এদিন সিট এর বিরুদ্ধে এক বিস্ফোরক অভিযোগ করেন নির্যাতিতার পরিবার। তাদের অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তরফে ঘটনার তদন্তের জন্য যে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম তৈরি করা হয়েছে তারা পিছনে অভিযুক্তদের সাহায্য করছে। তাঁদের আরও অভিযোগ, জেলা প্রশাসনের তরফে তাঁদের ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এদিন নির্যাতিতার পরিবারের কথায় একথা একেবারেই স্পষ্ট যে যোগী সরকারের প্রশাসনে তারা আর একেবারেই সন্তুষ্ট নন। সে কারণেই তারা সিবিআই তদন্তও চান না। বরং তাঁদের একটাই দাবি, সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে তদন্ত হোক।
তবে ধর্ষিতাএ পরিবারের তরফে প্রশাসনের ফোন কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ কিরা হলেও সেই অভিযোগ একেবারেই অস্বীকার করেছেন হাতরস সদরের এসডিএম প্রেম প্রকাশ মীনা৷ তাঁর বক্তব্য, “মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া সহ প্রশাসনের বিরুদ্ধে পরিবারের যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন৷” এদিকে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তরফে উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের প্রধান অজয় লাল্লুকে গৃহবন্দী করে রাখার অভিযোগ তুললেন খোদ অজয় লাল্লু। তাঁর অভিযোগ, “আমাকে হাউস অ্যারেস্ট করা হয়েছে৷ রাজ্য সরকার কী লুকনোর চেষ্টা করছে? আজ উত্তরপ্রদেশের মহিলাদের নিরাপত্তা নেই৷ গোটা রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা নেই৷”