গৌরনাথ চক্রবর্ত্তী, পূর্ব বর্ধমানঃ বুধবার ১০১ জোড়া অভিনব গণ বিবাহের সাক্ষী হলো বর্ধমান বাসী।গণ বিবাহের কমিটির সভাপতি তথা বর্ধমান পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর খোকন দাস জানান, বর্ধমানের কঙ্কালেশ্বরী কালিমাতা গণবিবাহ কমিটির উদ্যোগে বিগত ৬ বছর ধরে কাঞ্চননগর এলাকায় গণবিবাহ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
প্রথম বছর ৪ জোড়া দম্পতিকে নিয়ে,পরের বছরগুলিতে যথাক্রমে ১৭ জোড়া এবং ৪৩ জোড়া হয়ে ২০১৮ সালে সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ১০১ জোড়া পাত্র পাত্রীকে নিয়ে শুরু হয় এই গণবিবাহ। খোকন বাবু জানিয়েছেন,এই নিয়ে ষষ্ঠ বছরের এবারের গণবিবাহে তারা ১০১ জোড়া পাত্রী-পাত্রীর বিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বিয়ের দিন সকালে রথতলা এলাকা থেকে ইকো-রিক্সায় চাপিয়ে সুসজ্জিত র্যালি করে পাত্র পাত্রী পৌঁছায় কাঞ্চননগরের কঙ্কালেশ্বরী মন্দিরে।সন্ধ্যায় শুরু হয় বিয়ের মূল অনুষ্ঠান।এই বিবাহে হিন্দু-মুসলিম দুই ধর্মেরই পাত্রী-পাত্রীর বিয়ের অনুষ্ঠান হল রীতি রেওয়াজ মেনেই।অভিনব অনুষ্ঠানে বাদ যায়নি আলোকসজ্জা থেকে মণ্ডপ সজ্জা।নিয়ম মেনে পাত্র-পাত্রীদের দেওয়া হয় সোনার অলংকার-সহ গৃহ সামগ্রী।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
প্রীতিভোজ উপলক্ষ্যে ছিলো বর, কনে যাত্রী সহ নিমন্ত্রিত প্রায় ৫০০০ মানুষের ভোজের ব্যবস্থা।এদিন রাতে এই গণবিবাহের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বীরভুম তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, সহ সভাধিপতি দেবু টুডু সহ জেলা তৃণমুল নেতারাও।