নিজস্ব সংবাদদাতা: শেষ অবধি খড়গপুর ও মেদিনীপুর পৌরসভার কন্টেনমেন্ট জোন কমিয়ে আপাতত: ৯টি ওয়ার্ডেই সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। ঘাটাল পৌরসভারও কিছু অংশ কন্টেনমেন্ট জোনের আওতায়। আর সেই নিয়ম মোতাবেক ঘোষিত ওয়ার্ডগুলির নাগরিকরা ওই জোনের বাইরে যেতে পারবেননা। বাইরে থেকে ওই জোনে কেউ প্রবেশ করতে পারবেননা। জরুরি প্রয়োজনে কাউকে বাইরে যেতে হলে পুলিশের পাশ নিতে হবে। তাছাড়া পুলিশ মনে করলে দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় পরিবারের একজনকে বাজার ইত্যাদি করার জন্য বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেবেন। নির্দিষ্ট করে দেওয়া ১-২ঘন্টার মধ্যে তাঁকে ফিরতে হবে। কন্টেনমেন্ট জোনে কোনও বাজার বসবেনা। ওষুধের দোকান ছাড়া সমস্ত দোকান বন্ধ থাকবে।
সেই হিসাব অনুযায়ী জেলার কন্টেনমেন্ট জোন এলাকার কোন কোন বাজার বন্ধ থাকা উচিৎ দেখে নেওয়া যাক। খড়গপুর শহরে ৩৫নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত তালবাগিচা বাজার সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। যদি কেউ এই বিতর্ক তোলার চেষ্টা করেন যে বাজারের একটি অংশ ৩৩নম্বর ওয়ার্ডের সংলগ্ন তাই সেটা খোলা থাকতেই পারে তবে সেটি আইনত ভুল। কারন কন্টেনমেন্ট জোনের লাগোয়া আরও অনেকটা অংশ বাফার জোন বলে চিহ্নিত করতে হয়।
বাফার জোনেও নিষেধাজ্ঞা থাকে। তাই অযথা বিতর্কে না গিয়ে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মেনে নিন। খড়গপুর শহরের ১৩নম্বর ওয়ার্ডের নিমপুরা সবজি বাজার, মাছ বাজার এমনকি নিমপুরা মুলবাজারের একাংশ বন্ধ থাকতে পারে। ৩১, ৩২ বড় ও ছোট আয়মা, আরামবাটিতে সেই অর্থে বাজার নেই কিন্তু ট্যাংরা হাট বৃহস্পতিবার ও রবিবার বসতে নাও দিতে পারে প্রশাসন কারন ওটি কন্টেনমেন্ট জোনের আওতায়।
মেদিনীপুর শহরে ১নম্বর ওয়ার্ডের তোড়াপাড়া চকের বাজার, ২নম্বর ওয়ার্ডের কুইকোটা বাজার, সিপাইবাজার, খাপ্রেল বাজারে একাংশ, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পুলিশ লাইন চকের বাজার, নেপালি পাড়ার বাজার বন্ধ থাকতে পারে। এছাড়া বাকি মেদিনীপুর স্বাভাবিক থাকবে। তবে আবারও বলার যে প্রশাসনের পক্ষে বাজারের জন্য কোনও সুস্পষ্ট নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি। শুধু মূল অর্ডারে বলা হয়েছে কন্টেনমেন্ট জোনে সমস্ত বাজার ও দোকান বন্ধ থাকবে। এরপর প্রশাসন খতিয়ে দেখে কোনও বাজার সম্পূর্ণ, আংশিক ইত্যাদি খোলা বন্ধের নির্দেশ দিতে পারে।
যেমন খড়গপুর শহরের ক্ষেত্রে স্পেশাল টিম আলোচনা করে এখনও অবধি কন্টেনমেন্ট জোনে বাজার বন্ধের সিদ্ধান্তই নিয়েছে। প্রাক্তন পুরপিতা জহরলাল পাল জানিয়েছেন, ৮তারিখ শহরের কন্টেনমেন্ট এলাকায় বাজার বন্ধই থাকছে। ফের মিটিং বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জানা গেছে এই মিটিংয়ে তালবাগিচা বাজার খোলা রাখার স্বপক্ষে লড়ে গেছিলেন জহর পাল কিন্তু আধিকারিকরা জানিয়েছেন কন্টেনমেন্ট জোনে বাজার খোলা রাখলে আইনগত জটিলতা তৈরি হতে পারে। বিশেষ করে কেউ ছবি তুলে কেন্দ্রীয় সরকারকে পাঠালে সমস্যা হবে কারন করোনা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কেন্দ্রই নেওয়ার অধিকারী।
সেই মত ঘাটাল পৌরসভার কোন্ননগর এলাকার বাজারের আংশিক ও কুশপাতা এলাকার ঘাটাল-পাঁশকুড়া রাজ্যসড়কের কিছুটা অংশে বাজার বন্ধ থাকতে পারে। নারায়নগড়ের মকরামপুর এবং বেলদার বাখরাবাদ বাজার পুরোপুরি বন্ধ থাকার কথা। কেশিয়াড়ীর তল কেশিয়াড়ী অংশ ও চন্দ্রকোনা রোডের প্রয়াগ হোটেলের সংলগ্ন এলাকায় বাজার বন্ধ থাকতে পারে।