ওয়েব ডেস্ক : রবিবার মণীশ শুক্লার খুনের ঘটনায় প্রথম থেকেই CBI তদন্তের দাবি জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু মণীশ খুনের পর সোমবারই এই ঘটনার তদন্ত CID-র হাতে তুলে দেয় রাজ্য সরকার। তবে তা মানতে নারাজ গেরুয়া শিবির৷ সেকারণে এই ঘটনার তদন্তভার CBI-এর হাতে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে বুধবারই কলকাতা হাইকোর্টে যাচ্ছে বিজেপি। এমনটাই জানিয়েছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। এই ঘটনায় অর্জুন সিংয়ের বিস্ফোরক অভিযোগ, মণীশ খুনের মামলায় তদন্তভার CID-র হাতে দেওয়া হলেও এই খুনের ষড়যন্ত্রে CID আধিকারিকরাও সামিল ছিলেন।
এদিন অর্জুন সিং বলেন, “রবিবার কলকাতার ভবানী ভবনে CID সদর দফতর থেকে মণীশের গতিবিধির উপর যে নজর রাখা হচ্ছিল, সেই প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (CBI) তদন্তের আর্জি জানিয়ে আমরা বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে যাব।” তবে ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের প্রাথমিক তদন্তের পর জানানো হয়েছে, পুরনো শত্রুতার কারণেই খুন হয়েছেন বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল। পাশাপাশি সোমবারই রাজ্য পুলিশের এক আধিকারিক এক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, এই খুনের পিছনে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের জড়িত থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
অন্যদিকে, মণীশ খুনের মামলায় ইতিমধ্যেও মহম্মদ খুররম খান ও গুলাব শেখ নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মণীশ খুনের সাথে যে তৃণমূলের যোগ আছে একথা আগেই বলেছিলেন অর্জুন সিং। এবার ধৃত মহম্মদ খুরামের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ প্রমাণে একাধিক পুরনো ছবি দেখান ব্যারাকপুর সাংসদ। কোনও ছবিতে খুরামকে ব্রাত্য বসুর সঙ্গে দেখা যাচ্ছে, কোথাও আবার মদন মিত্রের সাথে। ফলে খুররাম যে শাসকদলের সাথে যুক্ত তা অনুমান করা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই দুই ধৃতকে জেরা করছে রাজ্য পুলিশ। তবে এরই মধ্যে মঙ্গলবার দুপুরে খুরাম এবং গুলাব শেখকে আদালতে তোলা হলে এদিম কোনও আইনজীবী তাদের হয়ে সওয়াল করেননি। একই সাথে ভবিষ্যতেও কোনও আইনজীবী যেন এই ধৃতদের হয়ে সওয়াল না করেন, বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে আইনজীবীদের সেই আবেদন জানানো হয়েছে।