নিজস্ব সংবাদদাতা: বিহারে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে এক বৃদ্ধাকে কোভিশিল্ড আর কো-ভ্যাকসিন দেওয়ায় বিতর্ক ছড়িয়েছিল দেশ জুড়ে। এবার সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল পশ্চিমবাংলার ঝাড়গ্রামে। পার্থক্য শুধু ৫মিনিটের বদলে ৮৪দিনের। অর্থাৎ ৮৪দিন আগে কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ নেওয়া ব্যক্তি ওই ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজের বদলে পেয়েছেন ফের প্রথম ডোজ এবং সেটা কো-ভ্যাকসিনের।
জাল ভ্যাকসিন নিয়ে যখন তোলপাড় রাজ্য তখন একই ব্যক্তিকে দু’রকম ভ্যাকসিন দেওয়ার এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলায়। অভিযোগ জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের এই মারাত্মক গাফিলতির ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দিন, ২৮শে জুন।
মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরে অভিযোগ জানাতে গিয়ে ঝাড়গ্রাম শহরের দশ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোড়ধরা শীতলাডিহির বাসিন্দা অভিষেক সাহু জানিয়েছেন, তাঁর বাবা শ্যামলাল সাহু ৫ এপ্রিল ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতাল থেকে কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন তিনি। হিসাব অনুযায়ী ২৮ জুন, সোমবার সেই ভ্যাকসিন নেওয়ার ৮৪ দিন সম্পূর্ণ হয়। আর সোমবারই কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ নিতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। পরে তাঁর মোবাইলে ম্যাসেজ আর সার্টিফিকেট পাওয়ার পর তিনি বুঝতে পারেন তাঁর বাবাকে কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজের পরিবর্তে ফের কোভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে।
পরের দিন মঙ্গলবার জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছেএকটি লিখিত অভিযোগ করেছেন অভিষেক। ঘটনার তদন্ত দাবি করে সেই অভিযোগে অভিষেক বলেছেন, আমার বাবা প্রথমে কোভিশিল্ডের প্ৰথম ডোজ নিয়েছিলেন। আর তার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পরিবর্তে বাবাকে কো-ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতাল কীভাবে এই ভুল করল যেখানে দুটি ডোজই একই জায়গা থেকে দেওয়া হয়েছে? অভিষেকের প্রশ্ন গ্রামের মানুষ এমনিতেই এত কিছু বোঝেনা। আরও কারও কারও ক্ষেত্রে এই একই ঘটনা ঘটে যায়নি তো?
অভিষেকের বক্তব্য এই দুরকম ভ্যাকসিনের কী কোনও প্রতিক্রিয়া হতে পারে জানতে চেয়ে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ চেয়েছিলেন তিনি কিন্তু তিনি কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি। অভিষেক আরও বলেন, বাবার বয়স হয়েছে যদি তেমন কিছু হয়ে যায়? বিষয়টি অবশ্য খতিয়ে দেখা হবে জানানো হয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক। উল্লেখ্য বিহারের পাটনা জেলার পুনপুন ব্লকের আওধপুরের ঘটনায় ভ্যাকসিনের দায়িত্বে থাকা দুই নার্সকে সাসপেন্ড করে তদন্ত শুরু হয়েছে। সুনিতা দেবী নামে ৬৩ বছরের ওই বৃদ্ধা সুস্থ আছেন বলেই জানা গেছে।