ওয়েব ডেস্ক : হাথরসকাণ্ডের প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই গর্জে উঠেছে গোটা দেশ। এর মাঝেই শুক্রবার হাথরসে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্য কলকাতা থেকে উত্তরপ্রদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তৃণমূলের ৫ সাংসদ। কিন্তু তাদের পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয়। এদিকে হাথরসের ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার থেকেই কলকাতার বিভিন্নপ্রান্তে চলছে বিক্ষোভ। শুক্রবার তৃণমূলের তরফে জানানো হয়, হাথরসের ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার কলকাতা শহরের রাজপথে নামবে তৃণমূল। এদিন মিছিলে পা মেলাবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেল ৪টেয় বিড়লা তারামণ্ডল থেকে গান্ধীমূর্তি পর্যন্ত পদযাত্রা করবেন মমতা।
এদিকে শুক্রবার নির্যাতিতার পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হাথরসে যান ডেরেক ও’ব্রায়েন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রতিমা মণ্ডল ও মমতা ঠাকুর। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাহুল গান্ধিকে যেভাবে পথ আটকে ছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ, একইভাবে এদিনও গ্রামে ঢোকার আগেই তৃণমূলের ৫ সাংসদকে গ্রামে ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। শুধু তাই নয়, এদিন তৃণমূলের প্রতিনিধিদের গ্রামে ঢুকতে বাধা দেওয়ায় তাদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তিও হয়। তবে শেষ পর্যন্ত নির্যাতিতার পরিবারের সাথে দেখা না করেই ফিরে আসতে হয়।
হাথরসের ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরপ্রদেশ সরকারকে তোপ দেগে বলেছিলেন,”পুলিস তদন্ত সঠিকভাবে তদন্ত করুক। আমরা এখানে ধর্ষণের ঘটনায় ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত করি।” এদিকে সামনেই এই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন, তার আগে হাথরসের ঘটনার প্রতিবাদে আচমকা তৃণমূলের রাস্তায় নামায় স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক মহলের একাংশে অনুমান, বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগে হাথরসকাণ্ডে বিজেপি সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে ঝড় তুলতে চাইছে তৃণমূল। সেকারণেই এবার পথে নামছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে হাথরসের ঘটনায় যখন তোলপাড় হচ্ছে গোটা উত্তরপ্রদেশ, সেসময় শুক্রবার রীতিমতো চাপের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত মুখ খুলেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। টুইটারে লিখেছেন, ”উত্তরপ্রদেশের মা-বোনেরা সম্মানহানি করার চিন্তা রাখলেও সমূলে নাশ করা হবে। এমন শান্তি দেওয়া হবে যে নজির হয়ে থাকবে ভবিষ্যতে। আপনাদের উত্তরপ্রদেশ সরকার মা-বোনেদের সম্মানরক্ষায় সংকল্পবদ্ধ। এটা আমার সংকল্প ও প্রতিশ্রুতি।”