নিজস্ব সংবাদদাতা : সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া দ্বিতীয় ভাষার ইংরেজি প্রশ্নপত্রর সংগে বাস্তবের প্রশ্ন পত্রের মিল নেই বলেই জানা গেছে। আর সেই কারনে দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষা শেষের পর কিছুটা স্বস্তিতে পর্ষদ। আসলের সঙ্গে মিলল না সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হওয়া ইংরাজি প্রশ্ন। প্রথমদিনে প্রশ্নফাঁস রুখতে ব্যর্থ হলেও মাধ্যমিকের দ্বিতীয় দিনে তা হয়নি বলেই জানা গেছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
২০১৯-এর মাধ্যমিকে লাগাতার প্রশ্নফাঁসে বেকায়দা পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে। সেই কারণে চলতি বছরের মাধ্যমিকে প্রশ্নফাঁস রুখতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছিল পর্ষদ। রাজ্যে বিভিন্ন জেলার ৪২ টি ব্লকে বন্ধ রাখা হয়েছিল ইন্টারনেট পরিষেবা। কিছু পরীক্ষা কেন্দ্রে মেটাল ডিটেক্টরও রাখা হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও এবারও প্রথম ভাষা বাংলার পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল বাংলা প্রশ্নপত্র।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল পর্ষদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। পরীক্ষা শেষের পর দেখা গিয়েছিল যে ভাইরাল প্রশ্নটিই আসল। একই ঘটনা ঘটে দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষাতেও। দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষা শুরুর কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এমনকী টিকটকেও ছড়িয়ে পড়ে ইংরাজি প্রশ্নের ছবি। যা অস্বস্তি বাড়ায় পর্ষদের। খবর পেয়েই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে জরুরি তলব করেন তিনি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা শেষে দেখা যায় যে, আসল প্রশ্নের সঙ্গে কোনও মিল নেই ভাইরাল প্রশ্নের। এতেই খানিকটা স্বস্তি মিলেছে পর্ষদের। তবে বাকি পরীক্ষাতেও প্রশ্নফাঁস রুখতে সমর্থ হবে কি পর্ষদ? সেই দিকেই তাকিয়ে সব মহল। প্রসঙ্গত, মনে করা হচ্ছে এদিন দ্বিতীয় সেটের প্রশ্ন ব্যবহার করা হয়েছে পরীক্ষায়। তাহলে কি ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পত্রটি জাল ? নাকি প্রথম সেটের ? তদন্ত শুরু হয়েছে।