নিজস্ব সংবাদদাতা: এখনও অবধি দুয়ে দুই গোল খেয়ে ফেলল পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। প্রথম দিনের মতই মাধ্যমিকের দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষাতেও বিভ্রাট। পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরতে শুরু করেছে ইংরাজি প্রশ্নপত্র। এতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তবে কি মাধ্যমিকের দ্বিতীয়দিনেও প্রশ্নফাঁসে ইতি টানতে ব্যর্থ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ? যদিও ভাইরাল প্রশ্নেই পরীক্ষা হচ্ছে কি না, বেলা ৩ টেয় পরীক্ষা শেষের পরই তা স্পষ্ট হবে। চলতি বছরের মাধ্যমিকে পরপর দু’দিনের প্রশ্নফাঁস ঘটনায় অস্বস্তিতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। গতকাল অর্থাৎ প্রথম দিনই পরীক্ষা শুরুর কিছু পরে ফাঁস হয়ে যাওয়া প্রশ্নপত্রটি পরীক্ষা শেষে মিলিয়ে দেখা গেছে হুবহুব এক।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
২০১৯-এর মাধ্যমিকে লাগাতার প্রশ্নফাঁসে বেকায়দা পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে। সাত দিনের সাতটি প্রশ্নপত্রই ফাঁস হয়েছিল সেবার। ১০০% সেই ব্যর্থতা রুখতে চলতি বছরের মাধ্যমিকে প্রশ্নফাঁস রুখতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছিল পর্ষদ। বিভিন্ন জেলার ৪২ টি ব্লকে বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। কিন্তু তা সত্ত্বেও এবারও প্রথম ভাষা বাংলার পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল বাংলা প্রশ্নপত্র। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল পর্ষদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। পরীক্ষা শেষের পর দেখা গিয়েছিল যে ভাইরাল প্রশ্নটিই আসল। এতেই কটাক্ষের শিকার হতে হয় পর্ষদ সভাপতিকে। তবে মঙ্গলবারই প্রশ্নফাঁসের তদন্ত শুরু হয়। মালদহের একটি নম্বর থেকে প্রশ্ন ছড়ানো হচ্ছে বলে দাবি করেন তদন্তকারীরা। গ্রেপ্তার করা হয় ১ জনকে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কিন্তু তাতেও অব্যাহত প্রশ্নফাঁসের ধারা। মাধ্যমিকের দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষা শুরুর আধঘণ্টার মধ্যেই হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে পড়ে ইংরাজি প্রশ্নের বেশ কয়েকটি পাতা। সেখান থেকে শেয়ার করা হয় ফেসবুকেও। প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে যায় টিকটকেও। পরপর দু’দিন প্রশ্নফাঁসের পর পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরই স্পষ্ট হবে যে, ভাইরাল প্রশ্নপত্রটিই আসল কি না। তবে এদিন প্রশ্নের ছবি ভাইরাল হতেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে জরুরি তলব করেছেন তিনি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এখনও অবধি জানা যাচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন জায়গায় হোয়াটসঅ্যাপে ইংরেজি প্রশ্নপত্র ভাইরাল হয়েছে।প্রশাসন ভাইরাল হওয়া প্রশ্ন পত্রের সাথে আজকের প্রশ্ন পত্র মিলিয়ে দেখছে বলে দাবি করেছে জেলা শাসক নিখিল নির্মল।