নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রতি হাতে কাজ আর প্রতি পাতে ভাতের দাবিতে শুরু হয়েছে লংমার্চ। বামপন্থী ছাত্রযুব থেকে শুরু করে কৃষক শ্রমিকরা অংশ নিয়েছেন সেই লংমার্চে। শনিবার চিত্তরঞ্জন থেকে আসানসোল আসার পথে লংমার্চে অংশ নেওয়া সেই যুবকদের হাতে নিজেদেরই ওয়াটার বটল তুলে দিতে দেখা গেল রানীগঞ্জ এলাকার রূপনারায়নপুর নিম্ন বুনিয়াদি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের। মূহুর্তে স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে সেই ছবি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
শনিবার দুপুরের এই ছবি দেখা গেছে হিন্দুস্তান কেবলস ফ্যাক্টরি নামক একটি বন্ধু হওয়া কারখানার গা ঘেঁষে চলে যাওয়া আদিবাসী জনজাতি অধ্যুষিত রূপনারায়নপুর এলাকায়। লাল পতাকা বেষ্টিত ওই মিছিলটি যখন স্কুলের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল তখনই ছুটে আসে ওই নিম্নবিত্ত পরিবারের পড়ুয়ারা। লাইন দিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে পড়ুয়ারা জল ভর্তি ওয়াটার বটল তুলে দেয় পদযাত্রীদের হাতে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
না, ওয়াটার বটল বলতে যা বোঝায় এগুলো আদৌ তা ছিলনা। পরিত্যক্ত নরম পানীয়র বোতল কিংবা ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের দুধের বোতল যাতে করে এরা পানীয়জল নিয়ে আসে বাড়ি থেকে। সেই বোতল ভর্তি জলই এরা বাড়িয়ে দেয় পদযাত্রায় অংশ নেওয়া মানুষদের হাতে। জল শেষ হওয়ার পর ক্ষুদেদের আবার দৌড়ে যেতে দেখা যায় জল ভরে আনতে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কোনও কোনও ক্ষুদের পাশে দেখা গেছে অভিভাবকদেরও। সেই অভিভাবকদের একজন জানালেন, এখানে যখন হিন্দুস্তান কেবল চালু ছিল তখন স্থায়ী অস্থায়ী কাজ জুটতো বিভিন্ন ধরনের। তারপর কারখানা বন্ধ হল। একবার মমতা ব্যানার্জী বলেছিলেন তাঁর উদ্যোগে কারখানা খুলে যাবে। এলাকা জুড়ে খুব আবির খেললাম আমরা কিন্ত কিছুই হলনা। এরপর বাবুল সুপ্রিয় এসে বললেন, সাংসদ হয়ে কেন্দ্রে গেলে তিনি খুলে দেবেন এই কারখানা। আবারও আবির খেলা হল। কিন্তু তারপর সব ফাঁকা। ভোট নিয়ে গেলে কেউই আর ফেরেনা।