ওয়েব ডেস্ক: দেশ জুড়ে ক্রমশই বাড়ছে করনা উত্তেজনা। তার মধ্যে ‘দোসর’ হয়েছে পঙ্গপাল। এর জেরে ইতিমধ্যেই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন রাজস্থান,মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা সহ উত্তর ও মধ্যভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষজন। ক্রমশই তা এগিয়ে আসছে করনা বিধ্বস্ত মহারাষ্ট্রের দিকে। তবে শুধু চাষের জমি নয় পঙ্গপালের কারনে বিমান পরিষেবার ক্ষেত্রেও একইভাবে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, করনার থেকেও নাকি ভয়াবহ এই পঙ্গপাল। দেশের কৃষি অর্থনীতিকে নিমেষে ক্ষতির মুখে ফেলতে পারে এই পঙ্গপাল হানা।
কি এই পঙ্গপাল??এটি একপ্রকার পতঙ্গ। বাংলায় একে সাধারণত ‘ঘাসফরিং’ বলা হয়। এটি আকারে খুব বেশি বড়ো নয়। তবে জানেন কি দৈর্ঘে মাত্র ১- ২ ইঞ্চি এই পতঙ্গ নিমেষে খেয়ে ফেলতে পারে ৩৫০০০ মানুষের ফসল। এরা সবসময়ই জোটবদ্ধ হয়ে হানা দেয়। তবে এই পতঙ্গ কিন্তু এক জায়গায় বেশিদিন স্থায়ী নয়। এক জায়গার ফসল শেষ হয়ে গেলেই তারা আবার সদলবলে বাড়ি দেয় অন্য জায়গায়।
প্রথমে বিষয়টি নিয়ে তেমন মাথা না ঘামালেও বর্তমানে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কেন্দ্রের কপালে। পঙ্গপালের হানা নিয়ে ইতিমধ্যেই ডিজিসিএ-র তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পঙ্গপাল রাতে উড়তে পারে না। ফলে এই তথ্য স্বাভাবিক ভাবেই বেশ খানিকটা স্বস্তি দিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষকে।
তবে ডিজিসিএ এর নির্দেশিকায় আরও জানানো হয়েছে, সাধারণত পঙ্গপালের দল অনেকটা নীচু দিয়ে ওড়ে। এর জেরে বিমানে যাত্রীদের ওঠা-নামার ক্ষেত্রেও বেশ খানিকটা সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। শুধু তাই নয় এই পঙ্গপালের দল বিকল করে দিতে পারে বিমানের যন্ত্রাংশ। এমনকি এর জেরে ব্যহত হতে পারে কন্ট্রোলরুমের সাথে বিমান চালকের বার্তা আদান-প্রদানও।
ডিজিসিএ জানিয়েছে, পাইলটদের সতর্ক থাকতেই হবে শুধু তাই নয়, পঙ্গপালের অস্তিত্ব টের পেলেই তা জানাতে হবে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে যাতে তারা অন্য পাইলটদের সতর্ক করে দিতে পারে। পাশাপাশি বিমানবন্দরে থাকা গ্রাউন্ডস্টাফদেরও বলা হয়েছে বন্দরের আশেপাশের পতঙ্গের অস্তিত্ব জানতে পারলে তারাও কন্ট্রোলকে জানায়।সবমিলিয়ে এই করনার আবহে একইরকমভাবে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে এই পঙ্গপালের ঝাঁক। যার জেরে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তায় ফেলেছে দেশবাসীকে। তবে বর্ষা নামলেই পঙ্গপালের দল কিছুুুটা নিয়ন্ত্রিত হবে বলে ধারনা বিশেষজ্ঞদের। পঙ্গপাল নিয়ন্ত্রনে কন্ট্রোলরুম খুলেছে দেশের একাধিক রাজ্য।