নিজস্ব সংবাদদাতা: রবিবার, ছুটির দিন। যদিও লকডাউনে রবিবার আর অন্যদিনের মধ্যে ফারাক কিছুই নেই তবুও রবিবার রবিবারই। সেই রবিবারে নিরন্ন মুখের স্বাদ কিছুটা হলেও বদলে দিলেন খড়গপুরের আবাসন নির্মান প্রকল্প ব্যবসায়ী উজ্জ্বল ওরফে দীপঙ্কর সেনগুপ্ত। তাঁর উদ্যোগে খড়গপুরের এক প্রান্তের দুঃস্থ মানুষেরা খেলেন মাছ ভাত অন্য প্রান্তে তিনি পাত পেড়ে মাংস ভাত খাওয়ালেন পথজীবীদের।
গত কয়েকদিন ধরেই দুপুরে পুরাতন বাজার এলাকায় শীতলা মন্দির পূজা কমিটি স্থানীয় পুরাতনবাজার মোড়, সাঁজোয়াল, মসজিদ গলি, ডেভলাপমেন্ট, এলাকার দুঃস্থ মানুষদের রান্না করা খাবার পরিবেশন করছে। কিছুদিন ছাড়া ছাড়াই কোনো না কোনো ঠিকাদার,ব্যবসায়ী, প্রমুখদের কাছ থেকে সাহায্য নিয়েই চলছে রান্না খাবার তুলে দিচ্ছে। রবিবার তাঁদের হাত দিয়েই ওই এলাকার ৫০০মানুষের জন্য মাছ ভাতের ব্যবস্থা করেছিলেন উজ্জ্বল।
এদিকে ফের বাড়ল লকডাউনের মেয়াদ। আগামী ৩১ ,মে অবধি চলবে চতুর্থ দফার লকডাউন। ফলে সমস্যার মুখে দুঃস্থ, ভিক্ষাজীবী ও অসংখ্য মানুষ। এমনই দিনে একটি উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত নিল খড়গপুরের খড়্গেশ্বর বয়েজ ক্লাব। আগামী ৭ দিন স্থানীয় দুঃস্থ পরিবার গুলিকে রান্না করা খাবার পরিবেশন করার সিদ্ধান্ত নিলেন ক্লাবের সদস্যরা। খড়গপুর শহরের ইন্দায় অবস্থিত ওই ক্লাবের এক সদস্য জানালেন,ইন্দা এলাকার ১, ২৩ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আংশিক অংশের দুঃস্থ ও নিম্নবিত্ত মানুষের যে অংশ লকডাউনের কারনে আয় বন্ধ হয়ে বিপদে পড়েছেন এমন শতাধিক মানুষ রবিবার দুপুর থেকে আহার পাচ্ছেন। আমরা আগামী ৭ দিন এই ব্যবস্থা বহাল রাখছি পরে যদি আর্থিক সহায়তা জোগাড় করতে পারি তো আরও যতদিন সম্ভব এই ব্যবস্থা চালিয়ে যাব।
খড়গপুরের বোগদা এলাকায় এদিন ২০০ জন দুঃস্থ, ভিক্ষুক, পথশিশুদের দুপুরের খাবার জোগালেন খড়গপুর পৌরসভার এক অংশ গাড়ির চালকগন।এক গাড়ির চালক জানালেন আমরা কয়েকজন মিলে যথাসম্ভব চেষ্টা করলাম।
এই বোগদা এলাকাতেই রাতে মাংস ভাত খাওয়ানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন উজ্জ্বল। এই নিয়ে এই এলাকায় রবিবার তাঁর চতুর্থ উদ্যোগ ছিল। প্রায় ২৫০ জন আবাল বৃদ্ধ বনিতা আজ স্বাদ বদলে নেন। উজ্জ্বল ও তাঁর স্ত্রী নিজের হাতেই খাবার পরিবেশন করেন।