নিজস্ব সংবাদদাতা: সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে মঙ্গলবারই প্রত্যাহৃত হচ্ছে খড়গপুরের দুটি কন্টেনমেন্ট জোন। ব্যারিকেডের বন্দীদশা থেকে মুক্তি পাচ্ছে ২৬ এবং ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কিন্তু খুলে আম শহর বেড়ানোর ছাড় পাচ্ছেনা খড়গপুরের জনতা। যতদিন লকডাউন চলবে ততদিনই কঠোর রাস্তায় হাঁটবে পুলিশ। সোমবার দিনভর সারা খড়গপুর জুড়ে মোট ৪১ জনের গ্রেপ্তারের রেকর্ড গড়ে এমনটাই জানিয়ে দিলেন খড়গপুরের মহকুমা পুলিশ শাসক,এসডিপিও সুকোমল কান্তি দাস।
সোমবার খোদ এসডিপিওর নেতৃত্বে পুলিশ সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি ঝাঁপিয়ে পড়েছে খরিদা, মালঞ্চ,গোলবাজার,ঝাপেটাপুর সহ শহরের উত্তর থেকে দক্ষিনের বিস্তীর্ণ এলাকায়। লকডাউন ভেঙে রাস্তায় নামার দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪১ জনকে যার মধ্যে ২২জনকে লকআপে ভরা হয়েছে আর বাকিদের থানা থেকেই জামিন দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই লকডাউন ভাঙার অপরাধের ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এদিন চারচাকা সহ মোট ১০টি গাড়ি আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় যার মধ্যে চারচাকা ও বাইক সমেত ৮টি গাড়ি অস্থায়ী রূপে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে যা লকডাউন ওঠার পরেই ফেরৎ পাওয়া যাবে।
এদিন খরিদা এলাকা থেকে প্রেসের স্টিকার লাগানো একটি চারচাকা আটক করেছে পুলিশ। সংবাদ মাধ্যমের পরিচয় ছাড়াও ভারতীয় পুলিশের স্টিকারও ব্যবহার করা হয়েছিল ওই গাড়িতে। শহরে তেজারতির কারবারি বলেই পরিচিত ওই ব্যক্তির কাছ থেকে দুটি প্রেসকার্ডও পাওয়া গেছে। এসডিপিও শ্রী দাস জানিয়েছেন, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জাল হলে চরম দুঃখ আছে ওই ব্যক্তির কপালে। এদিন খরিদা বাজারে ওই ব্যক্তির গাড়ি থেকে প্রেস স্টিকার খুলে দেন দাস স্বয়ং। বিকালে একটি অভিযোগও দায়ের হয়েছে।
অন্যদিকে পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে কন্টেনমেন্ট জোন উঠে গেলেও লকডাউন বলবৎ করার প্রক্রিয়া বিন্দুমাত্র শিথিল করা হবেনা। বরং বেপরোয়া ঘুরে বেড়ানো আটকাতে পুলিশ আরও কঠোর হবে। উল্লেখ্য ৬ আরপিএফের সংক্রমন ধরার পরেই ৪মে কন্টেনমেন্ট ঘোষনা করা হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের আরও তিন জায়গা ছাড়া খড়গপুরের এই দুটি ওয়ার্ডকে।