Homeএখন খবরউঠলনা লকডাউন! রাজ্যে দৈনিক সংক্রমন কমলেও সামান্য শিথিল করে বিধি নিষেধ বহাল...

উঠলনা লকডাউন! রাজ্যে দৈনিক সংক্রমন কমলেও সামান্য শিথিল করে বিধি নিষেধ বহাল আরও ১৫দিন

নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজ্যে ক্রমশ নিম্নমুখী করোনা সংক্রমনের গ্রাফ।তাও রাজ্যে কড়া বিধিনিষেধে সম্পূর্ণ ছাড় দিতে নারাজ রাজ্য সরকার। এই পরিস্থিতিতে আগামীকালই রাজ্যে বিধি-নিষেধের মেয়াদ শেষ হচ্ছিল। তার আগেই আজ সাংবাদিক বৈঠক করে বেশ কয়েকটি বিষয় শিথিল হওয়ার কথা ঘোষণা করা হয় নবান্নে।

সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হয়- এই পরিস্থিতিতে আগামী ১৬ জুন থেকে সম্পূর্ণ ছাড় না দিলেও শিথিল হচ্ছে একাধিক বিধি-নিষেধ। ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে চালু থাকবে সরকারি অফিস। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বেসরকারি সংস্থা। ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে অফিস খুলতে পারবে বেসরকারি সংস্থাগুলি।বিধিনিষেধ সংক্রান্ত নতুন নির্দেশিকাগুলি হল ২৫ শতাংশ কর্মীদের উপস্থিতি নিয়ে সমস্ত সরকারি অফিস চলবে।

বেসরকারি অফিস ১০-৪ টে থেকে খোলা। ২৫ শতাংশ কর্মী উপস্থিতি থাকতে পারেন।কর্মীদের জন্য পরিবহণের ব্যবস্থা করবে অফিস। ই-পাসের ব্যবস্থা থাকবে।প্রাতঃভ্রমণের জন্য সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত পার্ক খোলা।টিকার দুটো ডোজ সম্পূর্ণ হলে তবেই ঢোকা যাবে পার্কে। বাজার খোলা সকাল ৭টা থেকে ১১টা পর্যন্ত।অন্যান্য দোকান খোলা থাকবে ১১-৬ টা পর্যন্ত। রেস্তরা-বার, শপিং মল বা হোটেলের মধ্যে থাকা ১২টা থেকে ৮টা পর্যন্ত।

শপিং মল ১১-৬টা পর্যন্ত খোলা, ২৫ শতাংশের বেশি কর্মী হাজির থাকতে পারবেন না। একসঙ্গে সর্বাধিক ঢুকতে পারবেন ৩০ শতাংশ ক্রেতা।
স্টেডিয়ামে খেলা হতে পারে। তবে দর্শক থাকতে পারবেন না। শুটিং ইউনিটে ৫০ জন সদস্য হাজির থাকতে পারবেন। প্রত্যেকের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হতে হবে।
স্কুল-কলেজ-সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সব বন্ধ।।        লোকাল ট্রেন, মেট্রো পরিষেবা বন্ধ। বন্ধ বাস পরিষেবাও।
জরুরি পরিষেবা ছাড়া ট্যাক্সি, অটো বন্ধ। সামাজিক-রাজনৈতিক জমায়েত বন্ধ। সিনেমা হল, বিউটি পার্লার, স্পা বন্ধ। বিয়েতে সর্বাধিক ৫০ জন হাজির থাকতে পারবেন। শেষকৃত্যে ২০ জনের বেশি নয়।

ব্যাংক ১০টা থেকে দুপুর ২ টো পর্যন্ত খোলা
রাত ৯টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত কোনও গাড়ি চলবে না। জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে বেরনো যাবে না। উল্লেখ্য প্রায় ২ মাস পর আজ রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে কম। স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, একদিনে করোনা আক্রান্ত ৩ হাজার ৯৮৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৮৪ জনের। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৪৯৭ জন।

RELATED ARTICLES

Most Popular