Homeএখন খবরহাট হচ্ছে হোটেল বাজার বাস অটো, খুলছে সেলুন পার্লার অফিস! গেরোয় স্কুল...

হাট হচ্ছে হোটেল বাজার বাস অটো, খুলছে সেলুন পার্লার অফিস! গেরোয় স্কুল কলেজ মল থিয়েটার

নিজস্ব সংবাদদাতা: চতুর্থ দফা লকডাউন ঘোষনার সময় জোন বাছাইয়ের দায়িত্ব রাজ্যের হাতেই ছেড়ে দিয়েছিল কেন্দ্র আর তারই সদ্ব্যবহার করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।সোমবার মূখ্যমন্ত্রী যা ব্যখ্যা দিয়েছেন তাতে রাজ্যে আর রেড অরেঞ্জ আর গ্রীন জোন বলে কিছু থাকছেনা। শুধু কনটেনমেন্ট জোন ছাড়া বাকি সবকিছুই এখন গ্রীন জোন হয়ে যাচ্ছে। কন্টেনমেন্ট জোনেও সামান্য কিছু বিধি নিষেধ ছাড়া সর্বত্রই সব কিছু খোলা যাবে। এই নিয়ম অনুসারে কনটেনমেন্ট জোনও এখন থেকে বুথ ও ওয়ার্ড অনুসারে ভাগ করা হবে। আবার একটি কনটেনমেন্ট জোনকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ‘এ’- সংক্রমিত এলাকা, ‘বি’- বাফার এলাকা, ‘সি’- ক্লিন এলাকা। ‘এ’ এলাকায় আপাতত সব বন্ধ থাকবে। ‘বি’ চিহ্নিত এলাকায় কিছু বিধিনিষেধ থাকবে। ‘সি’ চিহ্নিত এলাকায় সব কিছু স্বাভাবিক ভাবে চলবে। সব মিলিয়ে হাট করেই প্রায় সব কিছু খুলে যাচ্ছে কেবলমাত্র স্কুল কলেজ সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি,শপিং মল, সিনেমা, থিয়েটার আর সুইমিংপুল খুলছেনা।

সোমবার নবান্নে মূখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন আগামী ২১ মে থেকে দোকান, অফিস ইত্যাদি খোলার প্রক্রিয়া চালু হয়ে যাবে।শুরু করবে। আর ওই দিন থেকেই এক জেলা থেকে অন্য জেলায় বাস চলাচলও শুরু হয়ে যাবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ২১ মে বৃহস্পতিবার থেকে আন্তঃজেলা বাস পরিষেবা চালু করবে সরকার। সেই দিন থেকে সরকারি বাসের পাশাপাশি বেসরকারি বাস মালিকদের কাছেও পরিষেবা দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, সামাজিক দূরত্ব রক্ষার নিয়ম মেনেই চালাতে হবে বাস।

ওই দিনই অর্থাৎ ২১ মে বৃহস্পতিবার থেকেই রাজ্যের সংক্রমিত এলাকা ছাড়া সর্বত্র বড় ও মাঝারি দোকান খোলা যাবে বলে এদিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে ওইদিন থেকেই চালু করা যাবে সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি অফিসও। আর সেদিকে লক্ষ্য রেখেই চালু হচ্ছে বাস পরিষেবা। অন্যদিকে আরও ছ’দিন পিছিয়ে ২৭ মে থেকে অটো চলাচল করতে পারবে। অটো ইউনিয়নের সঙ্গে পুলিশ কথা বলেই সেই ব্যবস্থা চালু করবে। তবে অটোতেও যাত্রী তোলার ক্ষেত্রে শর্ত দিয়েছে রাজ্য সরকার। জানানো হয়েছে, এক সঙ্গে সর্বাধিক দু’জন যাত্রীকে তোলা যাবে। বাধ্যতামূলক ভাবেই চালক ও যাত্রী সকলেরই মাস্ক পরবেন।মূখ্যমন্ত্রী যে ১০টি বিষয় উল্লেখ করেছেন তা হল,
১। ২১ মে থেকে সব বড়, মাঝারি দোকান খুলে যাবে। দোকানদারদের গ্লাভস ও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।
২। সেলুন, বিউটি পার্লার খোলা যাবে। তবে প্রত্যেকের চুল, দাড়ি কাটার পরে কাঁচি, চিরুনি ইত্যাদি স্যানিটাইজ করতে হবে।
৩। ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে সরকারি, বেসরকারি অফিস খোলা যাবে।
শিল্পক্ষেত্র চালু করা যাবে। ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করা যাবে।

৫। কোনও শপিং মল খুলবে না। তবে মলের ভিতরে কোনও বেসরকারি অফিস থাকলে সেটা খোলা যাবে।
৫। হোটেল খোলা যাবে। খোলার আগে স্যানিটাইজ করতে হবে। সামজিক দূরত্ব মানতে হবে।
৬। ২১ মে থেকে ‘এ’ চিহ্নিত কনটেনমেন্ট জোন বাদে অন্যত্র আন্তঃজেলা বাস চলবে। কিন্তু সেক্ষেত্রেও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। সরকার বাস চালাবে। বেসরকারি বাস মালিকরাও নিয়ম মেনে চালাতে পারেন।

৭। মাঠে খেলাধূলা চালু করা যাবে। তবে মাঠে কোনও দর্শক থাকতে পারবে না।
৮। ২৭ মে থেকে অটো চালানো যাবে। তবে সর্বাধিক দু’জন করে যাত্রী নেওয়া যাবে।
৯। ২৭ মে থেকে হকাররা দোকান খুলতে পারবেন। জোড়, বিজোড় হিসেবে দোকান খুলবে। পুলিশ হকার কমিটিগুলির সঙ্গে আলোচনা করে এটা চূড়ান্ত করবে।

১০। হকারদের জন্য বিশেষ পাস দেবে পুলিশ। তাতে নম্বর থাকবে। সেটা মেনে হকারদের ব্যবসা করতে হবে। সেখানেও দোকানদারদের মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার বাধ্যতামূলক থাকবে।
রবিবার লকডাউনের চতুর্থ দফার দিনক্ষণ ঘোষনার সময় কেন্দ্রীয় সরকার বলেছিল ৩১ মে পর্যন্ত সন্ধে সাতটা থেকে সকাল সাতটা – এই সময়ে সারা দেশে ‘নাইট কার্ফু’ চলবে। কেন্দ্রের সেই ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, তাঁর সরকার একে কার্ফু বলছে না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি এটাকে কার্ফু বলছি না। আমরা বলছি সন্ধে সাতটার পর বাড়িতে থাকবেন, মুক্ত মনে থাকবেন। বাইরে বেরোবেন না।” কার্ফু শব্দটিতে তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “মানুষকে দমবন্ধ করে রাখা ঠিক নয়। আমরা সরকারি ভাবে কার্ফু ঘোষণা করছি না। খুব ইমার্জেন্সি ছাড়া কার্ফু বলা যায় না।”

RELATED ARTICLES

Most Popular