Homeউত্তরবঙ্গজলপাইগুড়িস্বাস্থ্যবিধি শিকেয়! জলপাইগুড়ি হাসপাতালে জল না পেয়ে বাইরে বেরিয়ে বিক্ষোভ করোনা রোগীদের

স্বাস্থ্যবিধি শিকেয়! জলপাইগুড়ি হাসপাতালে জল না পেয়ে বাইরে বেরিয়ে বিক্ষোভ করোনা রোগীদের

ওয়েব ডেস্ক : করোনা রোগীদের বারংবার জল পান করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। অথচ, সেই করোনা হাসপাতাল এবং কোয়ারেন্টাইন সেন্টার চত্বরেই দিনভর নেই পানীয় জলের ব্যবস্থা। এমনই অভিযোগ জলপাইগুড়ির সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার এবং হাসপাতালের বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার রাতে রীতিমতো বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন করোনা রোগীরা। স্বাস্থ্যবিধি শিকেয় তুলে ওয়ার্ড থেকে রোগীরা বেরিয়ে এলেন গেটের কাছে। এরপর জল না থাকায় তাদের অসুবিধার কথা জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এর জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ানক হয়ে ওঠে যে খবর পেয়ে দ্রুত ছুটে আসতে হয় স্থানীয় থানার ওসিকে। এরপর পুলিশের তরফে বিষয়টি রোগীদের বুঝিয়ে দ্রুত জলের ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়ে তাদের পাঠানো হয় ওয়ার্ডে। ঘটনায় শুক্রবার রাতে জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতাল চত্বরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

ঘটনায় হাসপাতালের তরফে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালেই ওই হাসপাতালের পাম্প খারাপ হয়ে গিয়েছিল। অনেক চেষ্টা করেও দিনভর পাম্প সারাই করা যায়নি। এদিকে যেহেতু করোনা হাসপাতাল সেকারণে কোনো মিস্ত্রীও পাওয়া যাচ্ছিল না। ফলে যেটুকু জল ছিল, তা দিনভর ব্যবহারের ফলে শেষ হয়ে যায়। কিন্তু সন্ধ্যের পর থেকেই আর এক ফোঁটাও জল পাননি রোগীরা। একই অভিযোগ পাশের করোনা সেন্টারে থাকা রোগীদেরও। রোগীদের অভিযোগ, বিকাল থেকে জল না পাওয়ায় নানা অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয় তাদের। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি গোচর করা হলেও তাদের তরফে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি এমনকি কোনও আশ্বাসও দেওয়া হয়নি।

হাসপাতালের দায়সারা ব্যবহারে ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন রোগীরা৷ এরপর স্বাস্থ্যবিধি শিকেয় তুলে সন্ধ্যের পর নিজেদের ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে সোজা হাসপাতালের গেটের কাছে চলে যান করোনা আক্রান্ত রোগীরা। সংক্রমিত রোগীদের এভাবে ছুটে আসতে দেখে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালের মূল গেটটি বন্ধ করে দেন নিরাপত্তারক্ষী। সে কারণেই কেউ হাসপাতালের বাইরে বেরতে পারেননি। এরপর গেটের কাছে জমায়েত হয়েই তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এরপর বিপদ বুঝে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে খবর দেওয়া হয় কোতোয়ালি টাউন থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান টাউন থানার ওসি এবং অন্যান্য পুলিশকর্মীরা। ওসি নিজের রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। জেলাশাসকও হস্তক্ষেপ করেন। সমস্যার দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন তাঁরা। এরপর শান্ত হন রোগীরা। ফিরে যান নিজেদের ওয়ার্ডে। ঘটনায় জেলাশাসক জানিয়েছেন, সমস্যা মিটেছে। আপাতত সব ঠিক আছে।

করোনা আবহে এর আগে একাধিকবার রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতাল ও কোয়ারেন্টাইন সেন্টার গুলির বেহাল পরিষেবার কথা ফুটে উঠেছে। কিছুদিন আগে খোদ কলকাতা শহরেই খাওয়ার জলটুকুও না পেয়ে অভিযোগ জানাতে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের বাইরে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন এক করোনা সাসপেক্টেড ব্যক্তি। এর মাঝে গত কয়েকদিন আগেই জলপাইগুড়ির সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে অব্যবস্থার অভিযোগে বিক্ষোভে গর্জে উঠেছিলেন রোগীরা। ফের সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটল শুক্রবার রাতে। এর জেরে স্বাভাবিকভাবে আরও একবার সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে উঠলো প্রশ্ন।

RELATED ARTICLES

Most Popular