আহত ভূমি রাজস্ব আধিকারিক শেখ ইয়াসিন |
নিজস্ব সংবাদদাতা: বেআইনি ভাবে মোরাম আর বালি পাচার রুখতে রাতেই অভিযান চালাতে গিয়ে এবার দুষ্কৃতীদের ভয়াবহ আক্রমণের মুখে ভূমি রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিকরা। রড লাঠি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল দুস্কৃতিরা। দুষ্কৃতি তাণ্ডবে আহত হয়েছেন খোদ খড়গপুর মহকুমা ভূমি রাজস্ব আধিকারিক প্রবীর কুমার রায় সহ ৭জন। ঘটনাস্থলে ছুটে গেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। দুস্কৃতিদের খোঁজে চলছে রাত ভোর তল্লাশি। হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে আহত ভূমি রাজস্ব দপ্তরের কর্মচারীদের।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বুধবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে খড়গপুর শহর লাগোয়া ৬নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর সাহাচক এলাকায়। ভূমি রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিক ও কর্মচারীরা অতিরিক্ত মোরাম ও বালি বোঝাই গাড়িগুলি চিহ্নিত করে তা রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও বৈধ চালান দেখছিলেন। এমন সময় অতর্কিতে হঠাৎই ভূমি রাজস্ব দপ্তরের এই বিশেষ দলটির ওপর লাঠি রড ও গাড়ির জ্যাক নিয়ে হামলা চালায় দুষ্কৃতিদের একটি দল। হটাৎ এই আক্রমনে হকচকিয়ে যায় দলটি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
দুষ্কৃতীদের আক্রমনে ততক্ষনে মাথা ফেটে রক্ত ঝরতে শুরু করেছেন শেখ ইয়াসিন নামে এক অধিকারিকের। মাথায় , কাঁধে, হাতে এবং পিঠে আঘাত নিয়ে লুটিয়ে পড়েন আরও কয়েকজন। আহত অবস্থাতেই পুলিশে ফোন করেন খড়গপুর মহকুমা ভূমি রাজস্ব অধিকারিক প্রবীর কুমার রায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় বিশাল পুলিশবাহিনী। আহত আধিকারিকদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে। ইয়াসিনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় স্থানান্তরিত করা হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে জেলা ভূমি রাজস্ব দপ্তরের তরফে। ঘটনার পেছনে শেখ মুসলেম ও তার ভাইয়ের নাম উঠে এসেছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});এলাকায বহু গুণ্ডামিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে এদের বিরুদ্ধে। বেআইনি ভাবে বালি পাচারের আভিযোগে দুই চালককে আটক করেছে পুলিশ। এধরনের অভিযান পুলিশ ছাড়া কেন করা হল এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একটি বিশেষ সূত্রে জানা গেছে চলতি আর্থিক বছর শেষ হয়ে আসায় রাজস্ব সংগ্রহ করে এমন সমস্ত দপ্তর গুলির ওপর চাপ রয়েছে। আর সর্বাধিক চাপের মুখে ভূমি রাজস্ব দপ্তর। জেলা , মহকুমা এবং ব্লক স্তরে রাজস্ব আদায়ের নুন্যতম অর্থ রাশি নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে । সেই লক্ষ্য পুরণে সম্ভাব্য জায়গার সন্ধান পেলেই চট জলদি অভিযান করতে হচ্ছে।
এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পুলিশ চাইলেই যে পাওয়া যাবে তার নিশ্চয়তা নেই । পুলিশের নিজস্ব কাজ থাকে। পুলিশ নিয়ে অভিযান করতে হলে পুলিশের সময়ের ওপর নির্ভর করতে হয় তাতে টার্গেট মিস হয় । তাছাড়া স্থানীয় পুলিশের একাংশ এই বেআইনি কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকতে পারে এবং তাদের মারফৎ বালি ও মোরাম মাফিয়াদের কাছে অভিযানের আগাম খবর পৌঁছে যেতে পারে এই ধারনা করেই পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়নি।