নিজস্ব সংবাদদাতা: সম্মাননায় এঁদের কিছু যায় আসেনা। নীরবে নিভৃতে সাহিত্যের সমুদ্র মন্থন করে সাহিত্য রাসিকদের বিতরন করে অমৃত। নিজের জন্য হলাহল টুকু রাখা। বাংলার লিটিল ম্যাগাজিনের এমনই গর্ব সৃজন পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক লক্ষন কর্মকার। পশ্চিম মেদিনীপুর এমনিতেই রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকায় আর তারও প্রত্যন্ত এলাকায় ঘাটাল থেকে শুধুই একটি সমৃদ্ধ পত্রিকাই নয়, প্রকাশ করে চলেছেন গল্প কবিতা আর প্রবন্ধের অসামান্য সংকলন। তুলে এনেছেন বহু সাহিত্য প্রতিভাকে। তাঁরই হাতে সম্প্রতি বিদ্যাসাগর বিষয়ক প্রবন্ধ সংকলনটিকে বাংলার সেরা বিদ্যাসাগর সংকলন বলে মত প্রকাশ করেছেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য আনন্দদেব মুখোপাধ্যায়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সেই লক্ষন কর্মকার নিয়ে একটি সংখ্যা তৈরি করে চমকে দিয়েছে ঘাটালের কোরাস পত্রিকা।সম্পাদকের ৭০তম জন্মদিনে এই অভাবনীয় ভাবনার উদ্যোগ কোরাস সম্পাদক দুঃখানন্দ মণ্ডল। রবিবার এই উপলক্ষ্যে ঘাটালের সৃষ্টি হলে আলোচিত হলো তাঁর সাহিত্য জীবনের নানা কীর্তি।তাঁর কবিতা, সাহিত্যচর্চায় উৎসাহদান ও গদ্য লেখার ভঙ্গি এবং সুদক্ষ সম্পাদনার নানা দিক উঠে এল আলোচনায়। লক্ষন কর্মকার সম্পাদিত সৃজন পত্রিকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ অধ্যাপক এর প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ আত্মীয়কবি-সাহিত্যিক সম্পাদকগণ। তাকে উত্তরীয় শাল মানপত্র ও উপহার দিয়ে সম্মানিত করা হয় টিম কোরাসের পক্ষ থেকে , ছাত্র-ছাত্রীদের তরফ থেকে এবং শুভানুধ্যায়ীদের পক্ষ থেকে কোরাসের একটি বিশেষ সংখ্যা লক্ষন কর্মকার সংখ্যা ছাড়াও সৃজনের একটি সংখ্যা প্রকাশিত হয় এই মঞ্চ থেকে। তুষার কান্তি ঘোষ বাবুর একটা কাব্যগ্রন্থ “নীল পদ্মের খোঁজে”, তপনজ্যোতি মাজির একটি কবিতা গুচ্ছ “শীত পাখিও কবিতাগুচ্ছ ” ও প্রকাশিত হয়। তাঁর অনুভবের কথা সুন্দর সুচারুভাবে ব্যক্ত করেন লক্ষণ বাবু। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কোরাসের সম্পাদক দুঃখানন্দ মণ্ডল সহ সকলকে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
লক্ষণ বাবু কে নিয়ে স্মৃতিচারণ করলেন হরপ্রসাদ সাহু সহ অনেক বিদগ্ধ ব্যক্তিবর্গ।
দ্বিতীয় পর্বে সম্মানিত করা হয় বর্তমান সময়ের উল্লেখযোগ্য কবি আশিস মিশ্র কে। তার কাব্য চেতনা, কবিতা ভাবনা ও সহকবিদের প্রতি তার মনোভাব প্রকাশ করেন আরেক কবি লক্ষীকান্ত মন্ডল। আশিস দা তাঁর অনুভাবের কথায় কবিতা ও ক্ষমতায়নের উপর সুন্দর বক্তব্য উপস্থাপনের মাধ্যমে হৃদয় জিতে নিলেন। জার্মান সাহিত্য ও বর্তমান বাংলা সাহিত্য বিষয়ক আলোচনা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
দুটো অনুষ্ঠান ঋদ্ধ ও সমৃদ্ধ করেছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
তৃতীয় পর্বে শুরু হয় কবিতা পাঠ। হলভর্তি দুই শতাধিক কবির নাম বলতে পারব না তবে এই সময়ের উল্লেখযোগ্য কবিতা পাঠ করেন দেবাশীষ প্রধান, আর তাছাড়া সময় এগিয়ে গেলেন প্রাণনাথ শেঠ, বিকাশ চন্দ, সোমা প্রধান, পবিত্র কুমার ভক্তা, বাচিক শিল্পী মানসী সাহু, প্রদীপ কুমার গোল,মৌ মুখার্জি প্রমুখ। তাদের উপস্থিতিতে আজ সুন্দর মুহূর্ত কাটালাম তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অরুণ ভট্টাচার্য, কেশব মেট্যা, রবীন্দ্র সিংহ রায়, বিরূপাক্ষ দা, তাপস দা, অংকন দা ও আরো অনেকে। তৃতীয় পর্বের কবিতা পাঠের সঞ্চালনা করেন সুন্দর কন্ঠের অধিকারী শ্রীতনু চৌধুরী। শিলাই এর পাড়ে সৃষ্টি উৎসবে নবসৃষ্টির জয়গান…. ‘আনন্দধারা বহিছে ভুবনে’…