নিউজ ডেস্ক: দিন যাচ্ছে আর ধরা পড়া লেপার্ডের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বাড়তে বাড়তে পুনর্বাসন কেন্দ্রে এখন লেপার্ডের সংখ্যা ২৩। এত লেপার্ড নিয়ে হিমসিম খাচ্ছে বনদপ্তর। আলিপুরদুয়ার জেলায় প্রায়শই খাঁচাবন্দী হচ্ছে লেপার্ড।
ডুয়ার্সের বিভিন্ন চা বাগান গুলি থেকে লাগাতার বনদপ্তরের খাঁচায় বন্দি হচ্ছে একের পর এক লেপার্ড।ওই চিতাবাঘদের পুনর্বাসন দিতে এখন হিমশিম দশা বনদপ্তরের।
ডুয়ার্সের একমাত্র চিতাবাঘ পুনর্বাসন কেন্দ্র দক্ষিণ খয়েরবাড়ির খাঁচা গুলি বর্তমানে ভিড়ে ঠাসা অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে।ওই পুনর্বাসন কেন্দ্রের বর্তমান আবাসিক চিতা বাঘের সংখ্যা প্রায় ২ডজন ঠেকায় সমস্যা বেড়েই চলেছে। প্রথম দিকে কর্তৃপক্ষের ভাবনা ছিল যে লোকালয় অথবা চা বাগান এলাকায় ধরা পড়া লেপার্ড বা স্থানীয় চিতাবাঘদের ফের জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
সেই মত চিকিৎসা ইত্যাদি করে ছেড়েও দেওয়া হয়েছিল কয়েকটি চিতাকে ।কিন্তু বনদপ্তরের সেই পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিল পর পর কয়েকটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। ২০১৮-১৯ সালে আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট চা বলয়ের বিভিন্ন চা বাগানে পরপর পাঁচ জন ব্যক্তি চিতাবাঘের হামলায় নিহত হওয়ার পর, বনদপ্তর খাঁচা বন্দি চিতাবাঘদের আর জঙ্গলে ফেরানোর ঝুঁকি নেয়নি।
একদিকে মানুষের ক্ষোভ সামাল দিতে এর বিকল্প অন্য কোনোও উপায় ছিলনা বনদপ্তর। অন্যদিকে
বনদপ্তরের বিশেষ সমীক্ষায় ধরা পড়েছে যে, তাদের বনাঞ্চলে ফিরিয়ে দেওয়া হলেও, সহজলভ্য শিকারের নেশায় ও সন্তান প্রসবের জন্যে তার ফের একসময়ের চেনা পরিবেশ অর্থাৎ চা বাগান গুলিতে ফিরে আসছে। এই অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে বিকল্প চিন্তা করতে শুরু করে বনদপ্তর।
সেই বিকল্প চিন্তা হিসেবে ও সেন্ট্রাল জু অথরিটির পরামর্শে ও চিতাবাঘ গুলিকে প্রকৃতিতে ছাড়ার পরিবর্তে চিরতরে দেশের বিভিন্ন চিড়িয়াখানায় পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বনদপ্তর।কারন তাতে একদিকে যেমন দক্ষিণ খয়েরবাড়ির চিতাবাঘ পুনর্বাসন কেন্দ্রের আবাসিক চিতাবাঘদের ভিড় কমবে, অন্যদিকে তাদের খাবার সরবরাহ ও চিকিৎসার খরচ থেকেও অব্যাহতি পাবে বনদপ্তর। বন বিভাগের এক কর্তা অবশ্য বলেছেন, ‘ তবে সেক্ষেত্রে সেই ধরনের চিড়িয়াখানাই খোঁজা হচ্ছে যেখানে লেপার্ডদের রাখার মত পর্যাপ্ত পরিবেশ ও সামর্থ্য রয়েছে।’