Homeএখন খবরনাগরিক স্বাচ্ছন্দহীন মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে চূড়ান্ত অব্যবস্থা দূর করার দাবি নিয়ে ডেপুটেশন...

নাগরিক স্বাচ্ছন্দহীন মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে চূড়ান্ত অব্যবস্থা দূর করার দাবি নিয়ে ডেপুটেশন যুব কংগ্রেসের

নিজস্ব সংবাদদাতা: আগের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা বাতিল অবৈজ্ঞানিক পরিকল্পনায় গড়ে তোলা হয়েছে মহকুমা শাসকের কার্যালয় এবং তারমধ্যেও যেটুকু নাগরিক স্বাচ্ছন্দ দেওয়া যায় সেদিকেও নজর না দেওয়ায় চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বিভিন্ন প্রয়োজনে মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে আসা নাগরিকদের এমনই অভিযোগ জানালো খড়গপুর শহর যুব কংগ্রেসের সদস্যরা। বুধবার মহকুমা শাসককে একটি স্মারকলিপি প্রদান করতে এসে এমনটাই জানালেন কংগ্রেসের তরুণ কর্মীরা।

স্মারকলিপি প্রদানকারী যুব সদস্যরা জানান, “১০টি থানা এবং ১১টি পঞ্চায়েত সমিতির বিস্তৃত অংশের হাজার হাজার মানুষকে নানা প্রশাসনিক কাজ, নিজস্ব প্রয়োজন সহ নানাবিধ কাজে মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে আসতে হয় কিন্তু সেই সব মানুষদের স্বাচ্ছন্দের দিকে নূন্যতম ব্যবস্থা নেই মহকুমা শাসকের এই গড়ে ওঠা ভবনটির।
তাঁরা অভিযোগ করেছেন ভবনটির প্রাথমিক পরিকল্পনাকে বাতিল করে নতুন যে পরিকল্পনায় মহকুমা শাসকের কার্যালয় গড়া হয়েছে তাতে কোনও লিফটের ব্যবস্থা নেই অথচ পুরানো পরিকল্পনায় একাধিক লিফটের বন্দোবস্ত ছিল। প্রবীন ও বয়স্ক নাগরিকরা তাই এই চারতলা ভবন ব্যবহার করতে গিয়ে অসুবিধায় পড়েন। প্রতিদিন সরকারি কাজে আসে হাজারো মানুষকে সিঁড়ি ভেঙে ওপরে উঠতে নামতে হয়।

অফিস চত্বরের বিস্তীর্ণ সম্মুখভাগের ফাঁকা অংশে কোনো শেড নেই ফলে গ্রীষ্মকাল বা বর্ষাকালে মানুষ প্রচন্ড অসুবিধার মধ্যে পড়েন। পাশাপাশি একাধিক অফিস থাকলেও পর্যাপ্ত বসার আসন না থাকায় মানুষ বসার জায়গা না পেয়ে বাধ্য হন মেঝেতে বসে অপেক্ষা করতে। এত বড় অফিসে না রয়েছে কোনো পার্কিং এর জায়গা না রয়েছে অফিস ক্যান্টিন। ফলে দূর থেকে আসা মানুষজন গাড়ি রাখার বা খাবার খাওয়ার কোনো জায়গা পান না।

তিনটি গেটের মধ্যে দুটি গেটই নতুন অফিস হওয়ার সময় থেকেই বন্ধ ফলে একটি গেটের সামনেই জটলা সৃষ্টি হয়ে যায়। পাশাপাশি অফিসের মধ্যে কোনো এটিএম না থাকায় মানুষজনকে প্রয়োজনে টাকা তুলতে স্টেশন অবধি দৌড়তে হয়।বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এটিএমটিও বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকায় মানুষ হয়রানির শিকার হন। ফলে চত্তরের মধ্যেই একটি এটিএম তৈরির দাবি জানায় সংগঠনটি। নতুন অফিসে পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা নেই, এবং আপদকালীন সময়ে বেরোনোর রাস্তা নেই। এই সব দাবীতেই এদিন শহর যুব কংগ্রেস মহকুমা শাসককে ডেপুটেশন দেন।

যুব কংগ্রেসের রাজ্য রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অলোকেশ মহাপাত্র বলেন, ” আধুনিক খড়গপুরের রূপকার প্রয়াত চাচা জ্ঞান সিং সোহনপালের প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে মহকুমা শাসকের কার্যালয়ের পরিকল্পনা তৈরি করেছিলেন দক্ষ ইঞ্জিনিয়াররা। চাচার বরাবরের লক্ষ্য ছিল এই কার্যালয়ে যাঁরা দূরদূরান্ত থেকে আসবেন কিংবা যাঁরা বয়স্ক তাঁরা যেন সমস্যায় না পড়েন কিন্তু দুর্ভাগ্য পরে সেই প্ল্যানটা বদলে দেওয়া হয়। মানুষকে সরকারি পরিষেবা পেতে হলে কী পরিমাণ দৌড়ঝাঁপ করতে হয় তা নতুন পরিকল্পকদের ধারনাই ছিলনা যার প্রতিফলন ঘটেছে। ফলে হয়রানি হচ্ছেন মানুষ। এখন যেটুকু সুযোগ রয়েছে অন্তত সেটুকুর ব্যবহার হোক।”                                            উপস্থিত ছিলেন শহরের যুব সভাপতি অমিত কুমার শর্মা, সহসভাপতি ছোটন সেন, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা যুব কংগ্রেসের সভাপতি উজ্জ্বল মুখার্জী সহ প্রমুখরা।

RELATED ARTICLES

Most Popular