নিজস্ব সংবাদদাতা: রাত পোহালেই খড়গপুর শহরে নতুন লকডাউন শুরু হয়ে যাচ্ছে। দিনে সাড়ে ৬ঘন্টার ছাড় দিয়ে ১৪দিনের লকডাউনে যাচ্ছে শহর। শুক্রবার সেই শুরুয়াৎয়ের আগেই নতুন করে ৯জন আক্রান্ত হলেন শহরে আর সেই সঙ্গে শহরের মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গেল ৯২ জনে, অর্থাৎ আর মাত্র ৮ আক্রান্ত বাকি রইল এই শহরে করোনা ব্যাটিংয়ের সেঞ্চুরি পুরন হতে।
গত কয়েক দিন ধরেই খড়গপুরের পিচ থেকে ভাল রান তুলছে কোভিড-১৯। এপ্রিলে রেলের আরপিএফ ব্যারাক থেকে ছক্কা হাঁকিয়ে ওপেনিং করলেও মাঝখানে টেস্ট ক্রিকেটের ছন্দেই খেলছিল করোনা। মে মাস কাটিয়ে জুন আর জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে ওয়ানডে র মতই টুক টুক করে রান তুলে গেছে। কিন্তু বুধবার থেকে যেন টি টোয়েন্টি ফর্মে খেলছে করোনা। ওই দিন শহরের এক ব্যবসায়ী পরিবারের ৪জন সহ শহরে মোট ৭জন আক্রান্ত হয়ে ছিলেন, বৃহস্পতিবার তা এক লাফে ৯ ছুঁয়ে ফেলল!
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্টে বলা হয়েছে রেল এলাকা আর রেল বহির্ভূত পৌর এলাকা মিলিয়ে খড়গপুরে মোট ১১জনের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে যার মধ্যে খড়গপুর রেল হাসপাতালে ভর্তি থাকা ৪জনের পজিটিভ এসেছে। এই চারজনের ২জন আগে থেকেই পজিটিভ ছিলেন, বাকি ২জন নতুন আক্রান্ত। অন্যদিকে আনন্দ নগর, ইন্দা, মালঞ্চ ও নিমপুরা এলাকায় ৭জন নতুন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এই ৭জনের মধ্যে নিমপুরার একই পরিবারে এক বৃদ্ধা, এক কিশোরি ও এক ৬বছরের শিশু রয়েছে। জানা গেছে এই পরিবারের কর্তা টাটা মেটালিকে কাজ করতেন। তাঁর করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছিলেন আগেই। তাঁর করোনা পরীক্ষা ফলাফল আসার পরই ১০জনের পরীক্ষা করা হয়েছিল তাঁর থেকে বুধবার এই তিনটি পজিটিভ আসে।
অন্যদিকে আনন্দনগরে যে ২ জনের করোনা পজিটিভ তাঁরা খড়গপুরে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে জামাই য়ের সংস্পর্ষে এসেচন। টাটা মেটালিকসের কর্মচারী ওই জামাই ইতিমধ্যেই কলকাতার ভর্তি করোনা আক্রান্ত হয়ে। বাদ বাকি ৩জন কিসের ভিত্তিতে করোনা হয়েছে তা জানা যায়নি। এছাড়াও ইন্দা ও মালঞ্চ এলাকায় একজন করে মোট ২জন আক্রান্ত হয়েছে। ওই ২জন কী সূত্রে আক্রান্ত হয়েছেন তা এখুনি জানা যায়নি।
এছাড়া এদিন শহর লাগোয়া গ্রামীন অংশ মাদপুরের পপরআড়াতে ফের ৩জন আক্রান্ত হয়েছেন। এখানকারই এক বাসিন্দা রেল কর্মচারী আগেই আক্রান্ত হয়েছিলেন। ওই কর্মচারীকে বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতেন তাঁর এক নিকটজন যিনি আগেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। শেষোক্ত ব্যক্তির হাত ধরেই এবার তার পরিবারের ৩জন আক্রান্ত হলেন। জানা গেছে ওই ব্যক্তির স্ত্রী ও তাঁর ছেলে মেয়ের পজিটিভ এসেছে।