নিজস্ব সংবাদদাতা: আর মাত্র ৩৬ঘন্টার মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর থেকেই ২০২১ য়ের নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে চলেছেন মূখ্যমন্ত্রী তথা তৃনমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জী। ৭ই ডিসেম্বর, সোমবার মেদিনীপুর শহরে সেই সভার চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে ব্যস্ত জেলা তৃনমূল। শুভেন্দু অতীত তৃনমূল কতটা ঐক্যবদ্ধ এবং সঙ্ঘবদ্ধ সেটা প্রমান করাই আসল উদ্দেশ্যে দলের। কিন্তু সেই সভার প্রচারকে ঘিরে সেই জেলারই খড়গপুর শহরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর হাতাহাতি আর ধাক্কাধাক্কি প্রমান করে দিল যে তৃনমূল আছে তৃণমূলেই।
শনিবার খড়গপুর শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে খড়গপুর শহর তৃনমূল যুব কংগ্রেসের একটি প্রচার সভাকে ঘিরে মূল তৃণমূলের একটি গোষ্ঠীর সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় এবং হাতাহাতিতে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়। যদিও ঘটনাটি রীতিমত মুখে কুলুপ এঁটেছে কিন্তু প্রকাশ্যে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা শহর এমনকি জেলায় ছড়িয়েছে আগুনের মতই। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে শনিবার বিকালে খড়গপুর শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ৭তারিখে মূখ্যমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষ্যে একটি প্রচার সভার আয়োজন করা হয়েছিল যুব তৃণমূলের পক্ষ থেকে।
সভার মূল আয়োজক ছিলেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের যুব সভাপতি অতনু রায় চৌধুরী। এই ৯নম্বর ওয়ার্ড খড়গপুর শহরের বরিষ্ঠ তৃনমূল নেতা এবং জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাশিস চৌধুরী ওরফে মুনমুন থাকেন। তিনি আবার খড়গপুর পৌরসভার ১৭নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর। শহরের যুব তৃণমূলের অভিযোগ, কেন মুনমুনকে না জানিয়ে এই প্রচার সভার আয়োজন করা হয়েছে আর কেন তাঁকে এই প্রচার কর্মসূচিতে ডাকা হয়নি এনিয়ে প্রচারের জায়গায় চড়াও হন তিনি এবং মাইক খুলে দেন। অতনুর গায়েও তিনি হাত তোলেন।
শহর যুব তৃনমূল সভাপতি অসিত পাল জানান, ‘ ওই প্রচারে আমন্ত্রিত ছিলাম। ওটা মাদার সংগঠনের কর্মসূচি ছিলনা, ছিল যুবর। আমি সেই সভাতে যাওয়ার আগেই খবর পাই যে মুনমুনদা এবং তার লোকেরা ওখানে সভা করতে বাধা দিয়েছে। খবর পেয়ে আমি ওখানে যাই কিন্তু আমার সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করেছেন উনি। এমনকি আমাদের ছেলেদের মারধর করেছেন উনি।”
বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি মুনমুন বা দেবাশিস চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘সামান্য কিছু সমস্যা হয়েছিল। শ্লোগান পাল্টা শ্লোগান হয়েছে। তবে এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারবনা। “পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃনমূল সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘আমি শুনেছি ঘটনাটি। দুপক্ষকে নিয়ে রবিবার আলোচনা করব।” গোটা ঘটনায় খড়গপুর শহরে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল ফের একবার।