Homeএখন খবরখড়গপুর নয়া আন্দোলনে মুনমুন-রবিশঙ্কর, মানতে নারাজ প্রদীপ-জহর। জমজমাট তরজায় দল, ২৬শে শক্তি...

খড়গপুর নয়া আন্দোলনে মুনমুন-রবিশঙ্কর, মানতে নারাজ প্রদীপ-জহর। জমজমাট তরজায় দল, ২৬শে শক্তি পরীক্ষায় বেসরকারি তৃনমূল

নিজস্ব সংবাদদাতা: বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে নয়া প্রতিদ্বন্দ্বীর মুখে খড়গপুরের কয়েক মাসের বিধায়ক প্রদীপ সরকার। উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে ফের ২০২১শে নতুন শক্তি পরীক্ষায় নামতে হবে তাঁকে অবশ্য যদি তিনি টিকিট পান তবে তার আগেই দলের মধ্যে তাঁর অস্থিত্ব চ্যালেঞ্জ হয়ে গেল রবিবার। বিধায়ক ও কো-অর্ডিনেটর প্রদীপ সরকারকে বাদ দিয়েই নতুন কমিটি গড়ে আন্দোলনের দিন ঘোষণা করে দিলেন খড়গপুরে প্রদীপ বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা মুনমুন তথা দেবাশিষ চৌধুরী এবং সঙ্গে পেয়ে গেলেন সদ্য প্রাক্তন হয়ে যাওয়া খড়গপুর শহর তৃণমূলের সভাপতি রবিশঙ্কর পান্ডেকে।

রবিবার রেল এলাকায় অবস্থিত বস্তিগুলিকে রেলের ‘অত্যাচার, হুমকি, প্রবঞ্চনা’ ইত্যাদি থেকে বাঁচাতে বস্তি বাঁচাও কমিটি গঠন করেছেন সদ্য ঘোষিত দলের জেলা মুখপাত্র মুনমুন আর সেই কমিটির বলিষ্ঠ প্রকাশ আগামী ২৬তারিখ দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন রবিশঙ্কর পান্ডে। ওইদিন ডিআরএম ভবনের সামনে বড়সড় জমায়েত করে নিজেদের কন্ঠস্বর ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজারের পাশাপাশি প্রদীপ সরকারদেরও কানে পৌঁছে দিতে চান এমনটাই মনে করা হচ্ছে। যদিও এই ঘোষনার এক ঘন্টার মধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃনমূল সভাপতি
অজিত মাইতি জানিয়ে দিয়েছেন, এই কমিটি বা আন্দোলন কোনও টাই অনুমোদন করছেনা দল।

উল্লেখ্য বিধানসভা উপনির্বাচনের সময় রেলের বস্তিবাসীদের নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছিলেন প্রদীপ সরকারকে উৎরে দেওয়ার দায়িত্ব প্রাপ্ত শুভেন্দু অধিকারী। কয়েক হাজার বস্তিবাসী নিয়ে ডিআরএম অফিসের সামনে জমায়েত করেন তিনি। রেলের বস্তিবাসীদের সমস্যা নিয়ে কাজ করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় রেল এলাকার বিদায়ী কাউন্সিলর বানটা মুরলিকে। মুরলিই এখন বিষয়টা দেখা শোনা করেন। কোথাও উচ্ছেদ ইত্যাদি সমস্যা হলে দলের পক্ষে তিনিই দেখেন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে নতুন কমিটি গঠনকে সন্দেহের চোখেই দেখছেন মুনমুন বিরোধী নেতারা।

খড়গপুর তৃণমূলের অন্যতম প্রবীণ নেতা জহরলাল পাল জানিয়েছেন, “আমাদের দলের মধ্যে বিভিন্ন গন সংগঠন, সেল রয়েছে কিন্তু কোনও আলাদা করে বস্তিবাসীদের কমিটি নেই। বস্তিতে থাকা ছাত্র যুব মহিলা সংগঠনের সদস্যরাই বস্তির সমস্যা নিয়ে লড়াই করেন।উচ্ছেদের মত বড়সড় ঘটনা ঘটলে দল পাশে দাঁড়ায় যেমনটি নিমপুরা এলাকায় দাঁড়িয়েছিল। এখন কেউ যদি নিজের অস্তিত্ব বাঁচাতে বস্তি বাঁচাও করে সেটা দলকেই দুর্বল করবে।”

প্রদীপ সরকারের বক্তব্য, “আমি শহরের বিধায়ক, দলের খড়গপুর শহরের কো-অর্ডিনেটর। আমাকেই জানানো হলনা এই কমিটি বা আন্দোলনের বিষয়ে। দলকে বাদ দিয়ে এই ধরনের কার্যক্রম উপদলীয়। দলকে দুর্বল করার চেষ্টা। এ ধরনের কাজ দল সমর্থন করবেনা।” অন্যদিকে মুনমুন চৌধুরীর বক্তব্য, এটা কোনও পৃথক সংগঠন নয় একটি মঞ্চ যা বস্তিবাসীদের অধিকার রক্ষার লড়াইয়ের পাশে দাঁড়াবে।”

RELATED ARTICLES

Most Popular