নিজস্ব সংবাদদাতা: বৃহস্পতিবার থেকে জোড়া লকডাউনে নামতে চলেছে খড়গপুর তার আগেই ভয়াবহ ছোবল মারল করোনা। বুধবার সকালেই ৩জন করোনা আক্রান্ত মারা গেলেন খড়গপুর শহরে যার মধ্যে একজন কর্মরত সহকারি স্টেশন ম্যানেজার রয়েছেন। বুধবার পরপর এই ঘটনা গুলি ঘটে গিয়েছে দক্ষিণ পূর্ব রেলের খড়গপুর রেলের মেন বা জোনাল হাসপাতালে। ৩৬ ঘন্টা পের হয়নি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয়েছে খড়গপুর শহরের পাঁচবেড়িয়ার ৪৯বছরের মহিলার। তারই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের মৃত্যু দেখল শহর। ঘটনা জানাজানির পর ভয়ের বাতাবরন কাজ করছে শহরে।
জানা গেছে এদিন সকাল সকালই রেলের ক্যাজুয়ালিটি বিভাগে আনা হয় দুই অবসর প্রাপ্ত রেল কর্মচারীকে। এঁদের বয়স যথাক্রমে ৬৫ ও ৬৮। এঁদের একজনের বাড়ি ছোট ট্যাংরা এলাকায় বলে জানা গেছে। অপরের ঠিকানা এখনো জানা যায়নি। দুজনেরই প্রবল শ্বাসকষ্ট ছিল। প্রথমিক পর্যবেক্ষনের পর ২ জনেরই আ্যন্টিজেন পরীক্ষা করা হয়। আধঘন্টার মধ্যেই ২ জনেরই পজিটিভ রেজাল্ট আসে। তখুনি তাঁদের জীবন দায়ী ব্যবস্থার আওতায় আনা উচিৎ মনে করে চিকিৎসকরা শালবনী করোনা হাসপাতালে পাঠানোর কথা ভাবছিলেন কিন্তু সে সুযোগ পাওয়া যায়নি। কয়েক মিনিটের ব্যবধানে ২জনেরই মৃত্যু হয়।
এদিকে রাতেই একটু অসুস্থ বোধ করছিলেন হিজলি স্টেশনের সহকারি স্টেশন মাস্টার। ৫৭ বছর বয়স হয়েছিল তাঁর। নিজের আবাসনে সকালের দিকে শ্বাসকষ্ট প্রবল হয়ে ওঠে। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির লোকেরা তাঁকে নিয়ে রেল হাসপাতালের দিকে রওনা দেন কিন্তু অবস্থা এতটাই সঙ্কট জনক হয়ে ওঠে যে মাত্র ২কিলোমিটারের রাস্তা পৌঁছানো সম্ভব হয়নি, রাস্তাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। পরে আ্যন্টিজেন পরীক্ষায় তাঁরও পজিটিভ ধরা পড়ে।
সোমবার দিনই মৃত্যু হয়েছিল শহরের বিশিষ্ট চর্ম বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের। তারই ১২ঘন্টার মৃত্যু হয় পাঁচবেড়িয়ার মহিলার। আর তার রেশ কাটতে না কাটতেই একই দিনে তিন মৃত্যু নিয়ে গত ৪৮ ঘন্টায় করোনার ছোবলে ৫ মৃত্যু দেখল শহর আর সব মিলিয়ে এই শহরের মাত্র ৩মাসে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৪জনের মৃত্যু হল। শহরে প্রথম মৃত্যু হয়েছিল ২৯শে মে মেদিনীপুরের করোনা হাসপাতালে। মারা গেছিলেন পাঁচবেড়িয়ার ৪৭ বছরের এক ব্যবসায়ী।