নিজস্ব সংবাদদাতা: করোনা রাজেও বহাল দুষ্কৃতিরাজ শহরে আর এবার সেই দুষ্কৃতিরাজে ফের নাম জড়িয়ে গেল খড়গপুরের মাফিয়াডন বাসব রামবাবুর। জেলে থেকেই খড়গপুর শহরে ফের রাবনরাজ কায়েম করার চেষ্টা করছে রামবাবু এমনি অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পাশাপাশি ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ যার মধ্যে ৫জন কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে রামবাবুর ডেরা থেকেই বাকি তিনজনকে শহরের অন্য একটি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সোমবার রাতেই।
ধৃতদের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তোলা আদায়ের চেষ্টা, অস্ত্র আইন সহ একগুচ্ছ মামলা রুজু করে মঙ্গলবার আদালতে পেশ করা হয়। আরও তিনজনকে তদন্তের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত জামসেদপুর থেকে আনা এক শ্যুটার সহ তিনজনের বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে বলে খড়গপুর পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে ধৃতরা হল কালী প্রসাদ রেড্ডি ওরফে কালি, পি কৃষ্ণা রাও ওরফে পুতু কৃষ্ণা, এ শ্রীনিবাস রাও ওরফে মচ্চা শ্রীনু, কে শিবা রাও ওরফে শ্রীনু , ছটু ভূঁইয়া, ভেঙ্কটেশ্বর, জিতেন ঘরামী ও একজন।
অভিযোগ জয়হিন্দ নগরের এক মহিলা যিনি সম্প্রতি তাঁর রেলকর্মচারী স্বামীকে হারিয়েছেন এবং সেই সুবাদে কিছু টাকা পেয়েছেন। সেই টাকা থেকে ১লক্ষ টাকা তোলা দেওয়ার জন্য তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়। এই টাকা না দেওয়ার কারনে জামসেদপুর থেকে একজন দাগি সুপারি কিলার বা শ্যুটার কে ভাড়া করা হয় মহিলার ছেলে মুকেশকে মারার জন্য। পুলিশের দাবি রামবাবুর ভাগ্না বি অজয় জামসেদপুরের কুখ্যাত শ্যুটার শেখ সাদ্দামকে ভাড়া করেছিল এই অপারেশননের জন্য কিন্তু শেষ অবধি পুলিশি অভিযানের মুখে সে পালাতে বাধ্য হয়। পুলিশ এই অভিযানের ফলে অপরাধ সংঘটিত হওয়ার আগেই গোটা পরিকল্পনা ফাঁস করে দেয়। উদ্ধার হয় গুলি ভর্তি পিস্তল ও মোটরবাইক।
খড়গপুর এসডিপিও সুকোমল কান্তি দাস জানিয়েছেন, “গোটা পরিকল্পনা রচনা করা হয়েছে মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বসে যা অপরাধীরা আমাদের কাছে স্বীকার করেছে এবং আমরা কিছু মোবাইল কথোপকথন পেয়েছি যা পরীক্ষার জন্য বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হয়েছে।” পুলিশের স্পষ্ট অভিযোগ খড়গপুরের প্রয়াত মাফিয়া ডন শ্রীনু নাইডু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত হয়ে রামবাবু ও তাঁর সাকরেদদের একটি অংশ বর্তমানে জেলেই রয়েছে।