নিজস্ব সংবাদদাতা: মাত্র ১দিন আগেই নাইন এমএম পিস্তল সহ পাকড়াওহয়েছিল এক দাগি অপরাধী। খড়গপুর শহরের দক্ষিণ দুয়ার কৌশল্যা ফাঁড়ির পুলিশ কর্মীরা সেই সাফল্য অর্জন করেছিলেন। একদিনের মাথায় সেই কৌশল্যাতেই এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশ কর্মীরা বাজেয়াপ্ত করলেন ৭ লক্ষ টাকা। জানা গেছে সোমবার দুপুরে বেনাপুর থেকে খড়গপুর ঢোকার রাস্তায় তল্লাশি চালানোর সময় এই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়েছে ২ ব্যবসায়ী এবং একজন ঠিকাদারের কাছ থেকে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই আদর্শ নির্বাচনী বিধি বলবৎ হয়ে গেছে। এই নিয়ম অনুসারে এক সঙ্গে অধিক পরিমান টাকা নিয়ে যাতায়ত করা বে-আইনি কাজ। সেই নিয়ম অনুসারে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ওই টাকা।
যদিও ওই তিনজন দাবি করেছেন, কোনও অসৎ উদ্দেশ্যে নয়, ওই টাকা খড়গপুর ভূমি রাজস্ব দফতরে জমা দেওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পুলিশ অবশ্য জানিয়ে দিয়েছে বিষয়টি যথাযথ প্রমান সহকারে নির্বাচন কমিশনকেই জানাতে হবে অভিযুক্তদের। কমিশন সন্তুষ্ট হলেই টাকা ফেরৎ পাবেন তাঁরা অন্যথায় কমিশনের নির্দেশ অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খড়গপুর পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ” খড়গপুর পুলিশের বিশেষ বাহিনী এবং সিআরপিএফের এই যৌথ নাকায় দাঁতনের দুই ব্যবসায়ী হেমন্ত পাত্র ও দিবাকর পাত্রের কাছ থেকে যথাক্রমে ৩ ও ২লাখ করে মোট লাখ এবং কলকাতা সংলগ্ন বরানগর সিঁথিরমোড়ের বাসিন্দা অমিতাভ দের কাছ থেকে ২লক্ষ টাকা নগদ পাওয়া গেছে। এরা কেউই সন্তোষজনক উত্তর দিতেপারেনি এই টাকার বিষয়ে। ফলে কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিক তপন সিংহ মহাপাত্রের নেতৃত্বে ওই টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই খড়গপুর শহরের প্রতিটি প্রবেশমুখেই পুলিশ নাকা তল্লাশি চালাচ্ছে। চৌরঙ্গী, সাহাচক, আইআইটি ফ্লাইওভারের মুখ এবং কৌশল্যায় জোরদার নাকা চলছে। খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ আধিকারিকরা পুলিশ কর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আচমকা তল্লাশিও চালাচ্ছেন। বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে শহরে যাঁরা প্রবেশ করছেন তাঁদের দিকে। যাতে শহরে অপরাধ মূলক কাজ ও অপরাধের সহায়ক আগ্নেয়াস্ত্র, টাকা ইত্যাদি ঢুকতে পারে।
পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আইনভশৃঙ্খলার প্রশ্নে যেমন অস্ত্রশস্ত্র বা দাগি অপরাধীরা সমস্যা হতে পারে তেমনই নগদ টাকার ব্যবহার হয় জনগণকে প্রভাবিত করার লক্ষ্যে। তাই দুটো বিষয়কেই বিশেষ গুরুত্ব দেন কমিশন। জানা গেছে দাঁতনের বড়বাগড়া এবং বারাসতি গ্রামের ওই দুই ব্যক্তি ইটের ব্যবসায়ী, অন্যদিকে কলকাতার ব্যক্তি রেলের ঠিকাদার।