Homeএখন খবরখড়গপুর শহরের ১০০ছুঁতে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা! বুধবার জোরালো ধাক্কা, শহর আর...

খড়গপুর শহরের ১০০ছুঁতে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা! বুধবার জোরালো ধাক্কা, শহর আর গ্রাম মিলিয়ে একই দিনে আক্রান্ত ১৩

নিজস্ব সংবাদদাতা: খড়গপুরে ভয়াবহ সংক্রমনের নজির মিলল বুধবার। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী খড়গপুর পৌর এলাকার ৭ আক্রান্তকে ধরে বৃহত্তর খড়গপুরে গত ২৪ঘন্টায় ১৩জন আক্রান্তের সন্ধান মিলল এদিন। মঙ্গলবার শুধুমাত্র পৌর এলাকায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪জন, ২৪ ঘন্টায় পৌর এলাকায় তা ৭ হয়ে গেল। অন্যদিকে খড়গপুর শহর লাগোয়া গ্রামীন থানা এলাকায় আরও আরও ৬জন আক্রান্ত নিয়ে বৃহত্তর খড়গপুর বা শহর ও গ্রামীন খড়গপুর মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ডজন পেরিয়ে ১৩ হয়ে গেল যা খড়গপুরে করোনা কালের রেকর্ড হয়ে রইল।

মঙ্গলবার খড়গপুর শহরের গোলবাজার এলাকার একই পরিবারের ৪জন আক্রান্ত হওয়ায় শহরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়ে ছিল ৭৫ জনে যার মধ্যে ৬জনের মৃত্যু হয়েছিল। বুধবার শহরের টাস্ক ফোর্স বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছে শুক্রবার থেকে ফের লকডাউন শুরু হবে শহরে। সকাল ৬টা থেকে ১০টা আর বেলা ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা অবধি সময় বাদ দিয়ে পুরোপুরি স্তব্ধ হবে শহর। বুধবার সেই সিদ্ধান্তের কয়েকঘন্টার মধ্যেই ফের নতুন ৭ আক্রান্তকে ধরে শহরের মোট আক্রান্তর সংখ্যা ৮২তে দাঁড়াল, ১০০থেকে মাত্র ১৮ সংখ্যা দুরে।

বুধবার খড়গপুর শহরে যে ৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন তার সবাই-ই রেল এলাকার। এঁদের মধ্যে একজন রেলের বানিজ্য বিভাগীয় আধিকারিক ও একজন রেল হাসপাতালের ল্যাবরেটরি সুপার ভাইজার রয়েছেন। ৩জন ডিআরএম অফিসের বানিজ্যিক বিভাগের কর্মচারী। এছাড়াও রেলের ডিভিশনাল সিকিউরিটি কমিশনার কার্যালয়ে কর্মরত আরপিএফ জওয়ান ও তাঁর স্ত্রী রয়েছেন।

খড়গপুর গ্রামীন অংশের সালুয়া ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রাইফেল বা ইএফ আর হেড কোয়ার্টারের ফাস্ট ব্যাটেলিয়ানের কয়েকজন আক্রান্ত হয়েছেন। উল্লেখ্য এখানেই প্রশিক্ষন নিতে এসেছিলেন রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের ৪৪০জন। এঁদের হাত ধরেই সংক্রমন ছড়িয়ে পড়েছিল প্রথম। প্রশিক্ষনরত জওয়ান, প্রশিক্ষক ও রাঁধুনি মিলিয়ে ৯৯জন সংক্রমিত হন গত সপ্তাহে। এঁদের এখনো কয়েকজন শালবনী করোনা হাসপাতালে ভর্তি। বর্তমান আক্রান্তরা সেই সূত্রেই আক্রান্ত হয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে তালবাগিচা লাগোয়া শ্যামেশ্বরপুরের বাসিন্দা রেলের এক অবসর প্রাপ্ত কর্মচারী বৃদ্ধ করোনা আক্রান্ত হয়ে ২০শে জুলাই মারা যান শালবনী করোনা হাসপাতালে। ওই বৃদ্ধের পরিবারের ১০ জন কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। বুধবার তারই স্ত্রী ও ভাই নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular