নিজস্ব সংবাদদাতা: ৬দিনের মাথায় ফের বৃষ্টির মুখ দেখল খড়গপুর মেদিনীপুর, বৃষ্টি এল কড়া ক্রান্তিতে হওয়া অফিসের নির্ঘন্ট মেনেই। শনিবারই হওয়া অফিসের বক্তব্য ছিল দুয়ারে কড়া নাড়ছে বর্ষা। প্রতিবারের মতই সেই পূর্বাভাস প্রকাশিত হয় দ্য খড়গপুর পোষ্টে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল শনিবার যেমন তেমন কাটলেও রবিবার বৃষ্টির মুখ দেখবে শহর। রবিবার ভোরের আলো ফোটার আগেই সেই বৃষ্টি কড়া নেড়েছে দুই শহরের দরজায়। ভোরে খড়গপুরে তেমন বৃষ্টি না হলেও ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি হয়েছে খড়গপুরের।
রবিবার ভোর তিনটে নাগাদ ঘন কালো বর্জ্র গর্ভমেঘ ঘনিয়ে ছিল দুই শহরের দক্ষিনে। মেঘের বিদ্যুতের ঝিলিকের সাথে শোনা যায় মৃদু গর্জনও। তারপর ভোর পাঁচটা নাগাদ খড়গপুরে মৃদু ও মেদিনীপুরে মাঝারি বৃষ্টিপাত। সকাল ৯টা নাগাদ মেঘ সরিয়ে ফের সূর্যের আলো ফোটায় হতাশ হয়েছিল খড়গপুর ও মেদিনীপুর। কিন্ত বেলা ১১টা থেকেই ঘন কালো মেঘে ঢেকে গিয়েছে আকাশ, অসম্ভব আর্দ্রতায় দম মেরে থাকা বাতাস বলে দিচ্ছে সে আসছে এবং আজ বড়সড় বর্ষার মুখেই দুই শহর। বেলা সাড়ে ১২ টা থেকে টিপ টিপ বৃষ্টি দিয়ে তার মহড়া শুরু হয়ে গেছে।
রবিবার দক্ষিনবঙ্গে বর্ষার তীব্র অভিঘাত পরিলক্ষিত হচ্ছে দাসপুর আর ঘটালে। সকাল থেকেই ব্যাপক বৃষ্টি হচ্ছে। দ্য খড়গপুর পোষ্টের সংবাদদাতারা বলছেন বৃষ্টি হচ্ছে বেলদা, নারায়নগড়, গ্রামীন খড়গপুর ও ডেবরার কিছু অংশে। অন্যদিকে ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর, সাঁকরাইল, নয়াগ্রাম থেকেও এসেছে বৃষ্টির খবর।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে মৌসুমী অক্ষরেখা অতি সক্রিয় হওয়ার প্রভাবে দক্ষিণা বাতাসে ভর করে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয়বাষ্প ঢুকেছে। অতি ভারী বৃষ্টি হবে সিকিম ও উত্তরবঙ্গে। দক্ষিণবঙ্গেও রবিবার পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। বিক্ষিপ্তভাবে কয়েক জায়গায় দু-এক পশলা মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার থেকেই দুই মেদিনীপুর, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমানের মত পশ্চিমের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে চলেছে।
এদিকে এই সংবাদ তৈরির সময় রবিবার বেলা দেড়টা নাগাদ ভারি ফোঁটায় বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে খড়গপুরের বিভিন্ন ওয়ার্ড গুলিতে। ইন্দা থেকে প্রেমবাজার, খরিদা, মালঞ্চ, নিমপুরা, রেল সেটেলমেন্ট, কৌশল্যা, ঝাপেটাপুর সর্বত্রই ধিরে ধিরে বাড়তে শুরু করেছে বৃষ্টির পরিমান। আইআইটি খড়গপুর ক্যাম্পাস ওয়েদার রিপোর্ট অনুযায়ী শহরের তাপমাত্রা ৩১ডিগ্রি সেলসিয়াস যা কিনা অনুভূত হচ্ছে ৪০ডিগ্রির মতই কারন বাতাসে আর্দ্রতার পরিমান ৮২%। এই সময়ে ৮কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় পূবালি হওয়া বইছে।