নিজস্ব সংবাদদাতা: করোনায় আক্রান্ত হলেন সবং পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ অশোক চিনি। ৬০ বছর বয়সী চিনির শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাঁকে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় অবস্থিত বড়মা লেভেল ফোর করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার বিকালে সবং থানার চাউলকুড়ির বাড়ি থেকে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গত এক সপ্তাহকাল ধরে এই প্রবীন তৃণমূল নেতা জ্বরে ভুগছিলেন বলে জানা গেছে। আপাতত তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল হলেও তিনি একেবারে সঙ্কট মুক্ত নন এমনটাই জানা গেছে। বিশেষ করে তাঁর বয়স এবং শ্বাসকষ্ট জনিত উপসর্গ চিকিৎসকদের চিন্তায় রেখেছে।
সবং পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ পার্থ প্রতিম মাইতি জানিয়েছেন, “গত সাত দিন ধরেই জ্বর ছিল শ্রী চিনির। বাড়িতেই ছিলেন। সোমবার জানান তাঁর জ্বর কমে গেছে। নিরানব্বইয়ের নিচে নেমে গিয়েছিল তাপমাত্রা। কিন্তু কিছু পরেই তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়, শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। এরপর তাঁকে সবং গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই আ্যন্টিজেন পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে তাঁর। এরপরই তাঁকে বড়মা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।” মঙ্গলবার সকালের খবর অনুযায়ী শ্রী চিনি একটু ভালো বোধ করছেন কিন্তু তাঁকে কৃত্তিম অক্সিজেন ব্যবস্থার বাইরে নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি।
এদিকে মঙ্গলবার মূখ্যমন্ত্রীর সভায় কর্তব্য পালনে উপস্থিত থাকতে হবে এঁদেরই করোনা পরীক্ষায় বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কারণেই সম্ভবত মেদিনীপুর, খড়গপুরে সাধারন পরীক্ষা কম হয়েছে। যেকারনে ৫ই অক্টোবরের পরীক্ষায় খুব বেশি পজিটিভ ফলাফল আসেনি বলেই মনে করা হচ্ছে। মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত ৫জনের আরটি/পিসিআর পরীক্ষায় ৫জনের পজিটিভ এসেছে। বিধাননগর, মিত্র কম্পাউন্ড, রাঙামাটি ছাড়াও ধলহারা পড়শুরাতে পজিটিভ পাওয়া গেছে।
খড়গপুর শহর ও শহরতলিতে করোনার সংক্রমন এদিন কিছুটা কম হলেও ফের সংক্রমন মিলেছে IIT-Kharagpur ক্যাম্পাসে। ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ২৮, ৪০ ও ৫৯ বছরের তিন পুরুষ আক্রান্ত হয়েছেন। IIT-Kharagpur বি.সি.রায় হাসপাতাল সূত্রে প্রাপ্ত নমুনায় আরও তিন আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে যার মধ্যে প্রেমবাজার এলাকার একই পরিবারের ৪৯ ও ১৯ বছরের দু’জন পুরুষ আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে রবীন্দ্রপল্লী এলাকায় আক্রান্ত ৪২বছরের যুবক। খড়গপুর শহরে যে বাকি ৭জনের পজিটিভ হওয়ার খবর আরটি/পিসিআর পরীক্ষায় পাওয়া গেছে এঁদের সবারই রেল যোগ রয়েছে। এরমধ্যে ৫জনই রেল এলাকার সাউথ সাইড, ওল্ড সেটেলমেন্ট এলাকার বাসিন্দা। বাকি দুজন
সাঁজোয়াল ও ছোট আয়মার। শহর লাগোয়া বলরামপুরে ১জন, সালুয়া ফার্স্ট ব্যাটেলিয়ান আবাসনের ২ জন ও নো-শ্যুটিং এলাকায় ১জন আক্রান্ত হয়েছেন।
তবে ৫ই অক্টোবরে ডেবরা থানা এলাকায় করোনা সংক্রমনে খুব বেশি হেরফের হয়নি। আরটি/পিসিআর অনুযায়ী এদিন আক্রান্ত ১১ জন। এরমধ্যে বালিচক এলাকাতেই একই পরিবারের ৩জন সহ আক্রান্ত ৫ জন। বালিচকের ওই পরিবারে ৫৫ ও ৪৭ বছর বয়সী এক দম্পত্তি এবং তাঁদের ২৫ বছরের ছেলে আক্রান্ত। বালিচকের বাকি দুই আক্রান্ত ৬২ ও ৫৭ বছরের দুই পুরুষ ব্যক্তি। বাকি ৬ জন হলেন হামিরপুর (৫৭ মহিলা), লায়ারপুর (৬২ পুং), জালিমপুর (১৬ মহিলা), ডুঁয়া (৫২ মহিলা ও ২৯ পুং) এবং ভরতপুরের বউলাসিনির ৫৫ বছরের মহিলা।