নিজস্ব সংবাদদাতা: উত্তেজনার পারদ চড়ছিল ক’দিন ধরেই। সংঘর্ষের আবহের কথা মাথায় রেখেই মোতায়েন করা হয়েছিল পুলিশও। কিন্তু কাজের সময় পুলিশকেই দেখা গেল মারের হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে কারখানার ভেতরে ঢুকে পড়তে। ফল যা হওয়ার তাই হল, শাসক দলের বেপরোয়া মারে জখম হলেন বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের সমর্থকরা। লাঠি রড হকিস্টিকের আঘাতে রক্তাক্ত হল বিদ্যাসাগর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক।
বিজেপির পক্ষে দাবি করা হয়েছে তাঁদের একাধিক কর্মী জখম হয়েছেন এই আক্রমণে যার মধ্যে ২ জনের চোট গুরুতর, তাঁদের মাথায় আঘাত লেগেছে।
বিজেপি শ্রমিক সংগঠনের খড়গপুর নেতা শৈলেন্দ্র সিং জানান, ”খড়গপুর বিদ্যাসাগর শিল্প তালুকের ভেতরে যে সমস্ত নির্মান কার্য চলছে তাতে শ্রমিক ঢোকানোর এক চেটিয়া কর্তৃত্ব করছে তৃনমূল। অন্যদলের সমর্থক হলে ওখানে কাজ পাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। আমরা দাবি জানাচ্ছিলাম আমাদের সমর্থকদেরও সুযোগ দিতে হবে। এখানে ইন্ডিয়ান অয়েলের একটি নির্মাণ কার্যের ঠিকাদারকে বলে আমাদের কিছু লোকজনকে কাজে লাগানো হয়েছিল কিন্তু তৃণমূলের চাপের মুখে তাঁদের হঠাৎই বসিয়ে দেওয়া হয়। আমরা সেই ছাঁটাইয়ের বিরুদ্ধেই শুক্রবার শিল্প তালুকের ভেতরে গেছিলাম ডেপুটেশনে দেওয়ার জন্য। আমরা নেহাৎই আলোচনা চেয়েছিলাম তাই শান্তিপূর্ণ ভাবেই ওই কারখানার গেটে সমবেত হয়েছিলাম।”
ওই নেতা আরও বলেন ”পাশেই পুলিশের একটি গাড়ি ও কয়েকজন পুলিশ কর্মী ছিলেন। হঠাৎই শ’খানেক লোক লাঠি রড হকিস্টিক নিয়ে চড়াও হয় আমাদের ওপরে। পরিস্থিতির জন্য আমরা একেবারেই প্রস্তুত ছিলাম না ফলে বেধড়ক মারধর করা হয় আমাদের কর্মী সমর্থকদের ওপর। আশেপাশের গ্রাম থেকে আসা তৃণমূলের গুন্ডা বদমায়েশরাই এই হামলা চালায়। আমাদের বহু কর্মী রক্তাক্ত আহত হন। আশ্চর্যের বিষয় এই হামলার সময় পুলিশকেই দেখা গেল পালাতে।”
তৃণমূলের তরফে অবশ্য এই হামলার দায়িত্ব অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা নির্মল ঘোষ। ঘোষ বলেন, ”কয়েকদিন ধরেই শিল্প তালুক এলাকায় গোলমাল পাকানোর প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছিল। তিক্ত বিরক্ত হয়ে কারখানার স্থানীয় শ্রমিকরাই ওদের সরে যেতে বললে ওরাই প্রথম চড়াও হয় শ্রমিকদের ওপর। এরপরই শ্রমিকদের সাথে সংঘর্ষ হয়।”
খড়গপুর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় এই ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।