নিজস্ব সংবাদদাতা: পূর্ব মেদিনীপুরের বড়মা শিরোনা কিংবা মেদিনীপুর শহরের প্রবেশ মুখের গ্লোকাল অথবা শহরের ভেতরে আয়ুশ কোভিড হাসপাতাল ক্রমশ উপচে পড়ছে করোনা আক্রান্তের ভিড়ে তাই হাত বাড়ানো হয়েছিল শালবনী সুপার স্পেশালিটির দিকে। ১৫০ শয্যার সেই হাসপাতালই এখন পশ্চিম মেদিনীপুরের সব চেয়ে বড় হাসপাতাল যা পুরোপুরি তৈরি কিন্তু না, ‘ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই ছোট সে তরী…” ফলে এবার খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালেও হতে যাচ্ছে কোভিড হাসপাতাল। রবিবার সেই হাসপাতাল পরিদর্শন করে গেলেন জেলার সদ্য মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ হয়ে আসা নিমাই চন্দ্র মন্ডল, ডেপুটি সিএমওএইচ সৌম্য শেখর ষড়ঙ্গি সহ স্বাস্থ্য আধিকারিকদের একটি দল।
জানা গেছে মহকুমা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডের নিচের তলাকেই ব্যবহার করা হবে কোভিড হাসপাতাল হিসাবে। সিএমওএইচ ড: মন্ডল জানিয়েছেন, ” এখানে আমরা ৩০শয্যা বিশিষ্ট একটি হাসপাতাল করব। আপাতত ২০টি শয্যা নিয়ে তৈরি করা হবে। পরে আরও ১০টি শয্যা বাড়ানো হবে। খড়গপুর মহকুমার করোনা আক্রান্তদের এখানে রেখে চিকিৎসা হবে।”
নিয়ম অনুযায়ী হাসপাতালের পরিকাঠামো, চিকিৎসক,চিকিৎসাকর্মী ইত্যাদির গুনগত ও পরিমান গত অবস্থান অনুসারে কোভিড হাসপাতাল গুলোর শ্রেনী বিন্যাস হয় এবং আক্রান্তের শারীরিক অবস্থা অনুসারে সেখানে পাঠানো হয়। যেমন লেভেল থ্রি এবং ফোর হল বড়মা। আবার প্রাথমিক স্তরে সংক্রমিত বা সংক্রমনের আশঙ্কা করা হচ্ছে এমন রুগীদের জন্য গ্লোকাল লেভেল ওয়ান বা টু হাসপাতাল। খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের মধ্যে হতে যাওয়া করোনা হাসপাতালটি তাহলে কেমন? স্পষ্ট উত্তর মেলেনি, ডেপুটি সিএমএইচ বলছেন, “কোনও লেভেলে ফেলা যাবেনা আপাতত। এখানে খুবই স্বল্প আক্রান্ত রোগীদের রাখা হবে।”
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে এখানেই থেমে থাকা নয়, পাশাপাশি আরও কয়েকটি সরকারি ও বেসকারি হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরিত অথবা সেই হাসপাতালের অভ্যন্তরেই কোভিড ওয়ার্ড তৈরি করা হবে।সিএমওএইচ বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য জেলায় মোট ৪০০ শয্যা বরাদ্দ হচ্ছে আক্রান্তদের জন্য।’ শালবনী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল সর্বাধিক ১৫০ শয্যা নিয়ে জেলার সব চেয়ে বড় কোভিড হাসপাতাল। এরপর আয়ুশ ৮০ শয্যার। গ্লোকাল ৫০ শয্যা। খড়গপুরে ৩০ শয্যা করা হচ্ছে।
এছাড়া বাকি ৭০টি আসনের মধ্যে মেদিনীপুর প্যারামেডিক্যাল, ডেবরা সুপার স্পেশালিটি ও অন্য কোনও হাসপাতালের কথাও ভাবা হচ্ছে।
খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু মুখার্জী জানিয়েছেন, জরুরি ভিত্তিতেই আইসোলেশন ওয়ার্ডকে সাজিয়ে নেওয়া হবে। বাতানুকূল যন্ত্র সহ অন্যান্য আশু বিষয়গুলি দ্রুত প্রতিস্থাপিত করা হবে।