নিজস্ব সংবাদদাতা: অতিমারি করোনার প্রকোপে কার্যত কাঁপছে খড়গপুর শহর। প্রতিদিনই শহরের প্রায় সব জায়গায় থেকে আসছে সংক্রমনের খবর। দৈনিক সংক্রমন ১০০ অবধি পৌঁছে গেছে। কিন্তু তা’বলে থেমে থাকছেনা অন্যান্য রোগ-বিসুখ কিংবা দুর্ঘটনা। যেমন থেমে থাকেনা থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের রক্তের চাহিদা কিংবা বয়স্ক মানুষদের বিভিন্ন দৈহিক সমস্যা। এরকমই সমস্যার সুরাহা হয়ে এগিয়ে এল কৌশল্যায় অবস্থিত খড়গপুর রেসকিউ সেন্টার এবং ইন্দা নিশান ক্লাব।
খড়গপুর রেসকিউ সেন্টারের উদ্যোগে রোটারি চক্ষু হাসপাতাল এগিয়ে এসেছিল ইচ্ছুক ব্যক্তিদের চক্ষু পরীক্ষায়। সহযোগিতায় ছিলেন সেন্ট জনস আ্যম্বুলেন্স ব্রিগেডের সদস্যরা। রেসকিউ সেন্টারের প্রধান স্বাগত খাঁড়া জানিয়েছেন কোভিড পরিস্থিতির জন্য এদিন মাত্র ১২৫ জনের চক্ষু পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের বিনামূল্যে ছানি অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কাউকে বিনামূল্যে অথবা স্বল্পেমূল্যে চশমা ও আই-ড্রপ প্রদান করা হয়েছে। গোটা অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছেন ডাঃ সন্দীপ সেন এবং ডাঃ অলিভা মাহিস। ক্যাম্পের দুই ম্যানেজার অতীন্দ্র নাথ মাইতি ও প্রিয়াঙ্কা গিরি। ছিলেন বনশ্রী ভৌমিক, সাবির আলি ও রাজেশ ঘোষ। উপস্থিত ছিলেন সেন্ট জনস আ্যম্বুলেন্স ব্রিগেডিয়ার অসীম নাথ।
অন্যদিকে রবিবারকেই তাঁদের ১৪তম রক্তদান শিবির সংঘটিত করার জন্য বেছে নিয়েছিলেন ইন্দা নিশান ক্লাবের সদস্যরা। কোভিড বিধি মেনেই এদিন রক্ত সংগ্ৰহ করে খড়গপুর মহকুমা ব্লাড ব্যাঙ্কের সদস্যরা। ব্লাড ব্যাংক সূত্রে জানানো হয়েছে এই শিবির থেকে মোট ৩০ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। এই শিবিরের বড় পাওনা হল ৫জনের প্রথমবার রক্ত দান।
ক্লাবের সভাপতি মুরলী মনোহর সাই জানান করোনার সময় শিবির আয়োজন করা খুবই ঝুঁকিপূর্ন ও কঠিন কাজ। চিকিৎসক ও ব্লাডব্যাঙ্কের কর্মীদের পরামর্শ নিয়ে করোনা বিধি মেনে এই শিবির অনুষ্ঠিত করেছি । এমনিতেই গ্রীষ্মকালে রক্তের সঙ্কট তৈরি হয় তার ওপর প্রচুর মানুষ যাঁরা নিয়মিত রক্তদান করতেন তাঁরা করোনা আক্রান্ত হওয়ার ফলে রক্তের যোগান আরও অনেক যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আরও বেশি বেশি করে এই ধরনের শিবির আয়োজন করা দরকার। ছবি-বিভূ কানুনগো