নিজস্ব সংবাদদাতা: ফের দুঃসংবাদ এসেছে খড়গপুরের জন্য। কলকাতার আর.এন.টেগোর হাসপাতালে ভর্তি খড়গপুর শহরের এক ৬২ বছর বয়স্ক ব্যক্তি করোনা পজিটিভ বলে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।তবে কলকাতায় তাঁর করোনা ধরা পড়লেও তিনি খড়গপুর থেকেই আক্রান্ত হয়েছেন বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে
জানা গেছে খড়গপুর পৌরসভার ২৮নম্বর ওয়ার্ড বা ঝুলি এলাকার ওই ব্যক্তি রেলের অবসর প্রাপ্ত কর্মী। হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে কয়েকদিন আগেই মালঞ্চর এক চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন। ওই চিকিৎসক হার্টের অবস্থা খুবই খারাপ বলে তাঁকে ততক্ষনাৎ হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন। ৩রা জুন রেলের হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই দিনই রাতেই জরুরি ভিত্তিতে অপারেশন করার জন্য আর.এন.টেগোরে স্থানান্তরিত করা হয়। ৪ তারিখই আ্যঞ্জিওপ্লাস্টি করা হয়। অপারেশনের আগেই নমুনা সংগ্ৰহ করা হয়েছিল যা শুক্রবার পজিটিভ বলে জানা গেছে।
যেহেতু ওই ব্যক্তি মাত্র কয়েকঘন্টা কলকাতাতে থাকাকালীন নমুনা সংগ্ৰহ করা হয়েছিল তাই ধরে নেওয়া হচ্ছে খড়গপুর থেকেই সংক্রমন নিয়েই তিনি গেছিলেন। এখন প্রশ্ন হল যদি খড়গপুর থেকে সংক্রমন ছড়ায় তবে তা ছড়ালো কোথা থেকে? ওই ব্যক্তি বাইরে কোথাও যাননি। পরিবারের সদস্যরা কাজের প্ৰয়োজনে বাজার হাট করেছেন। খড়গপুর শহরে মূল সংক্রমন হয়েছিল আরপিএফের কর্মীদের মধ্যে। এরপর আয়মা এবং তারপর দেবলপুর এলাকায় আক্রান্তের সন্ধান মেলে। সেই সূত্র ধরেই কী ধিরে ধিরে সংক্রমন ছড়িয়ে পড়ছে শহরে?
খড়গপুরে এর আগের শেষ সংক্রমনের ঘটনা ঝুলির খুবই সামনে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের এক ঠিকা কর্মী যে রুগীদের খাবার সরবরাহ করত। তার সূত্র আশেপাশের দোকানপাট সংক্রমিত হয়েছে কী? ঘুরছে এই সব প্রশ্ন। তার সঙ্গে দোকানপাট খুলে যাওয়া ও মানুষের দলে দলে বেরিয়ে পড়ার প্রবনতা ভাবাচ্ছে।
এদিন গড়বেতায় একজন ও দাসপুরের ২জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এরমধ্যে দাসপুরের এক গৃহবধূর বাপের বাড়ি ডেবরা থানা এলাকায়। কদিন আগে বাপের বাড়ির একজন দাসপুরে তাঁদের মেয়ের সংগে দেখা করতে গেছিলেন। গতকাল ওই গৃহবধূর করোনা চিহ্নিত হওয়ায় সংক্রমন ছড়ানোর আশঙ্কা থেকে গৃহবধূর নিজের বাড়ির পাশাপাশি ডেবরার বাপের বাড়িও কন্টেনমেন্ট এরিয়া করে পুলিশ। তাই থেকে গুজব ছড়ায় যে ডেবরাতেও করোনা মিলেছে। স্বাস্থ্য দপ্তর এই দাবি নাকচ করে দিয়েছে।