নিজস্ব সংবাদদাতা: খড়গপুর শহরে এক পুলিশ আধিকারিকের আক্রান্ত হওয়ার মধ্যে দিয়ে সেঞ্চুরি পূরণ হয়ে গেল করোনার। শনিবারই ৯৯ জনে এসে থমকে গিয়েছিল করোনা ঝড়। রবিবার জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী খড়গপুর শহরে শুধুমাত্র একজনেরই আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে আর শত তম সেই আক্রান্ত ব্যক্তি একজন পুলিশ আধিকারিক বলেই জানা গেছে।
উল্লেখ্য খড়গপুর শহরে চিকিৎসক, নার্স, চিকিৎসাকর্মী, রেল আধিকারিক, কারখানার ম্যানেজার ইত্যাদি নানা পেশার মানুষ এর আগে করোনায় আক্রান্ত হলেও কোনো পুলিশ কর্মী এর আগে আক্রান্ত হননি। এই প্রথম একজন পুলিশ কর্মী যিনি একজন এ.এস.আই পদমর্যাদার আক্রান্ত হলেন।
দ্বিতীয়ত খড়গপুর শহরের ইন্দা রামকৃষ্ণপল্লীর বাসিন্দা ৫৬ বছরের এই পুলিশ আধিকারিকের যে বিষয়টি উল্লেখযোগ্য তা হল এঁর উপসর্গ ছিল ভিন্ন ধরনের। জ্বর বা কাশি, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি তাঁর ছিলনা। হুগলি জেলার খানাকুল থানায় কর্মরত এই আধিকারিক বেশকিছু দিন ধরেই পেট খারাপে ভুগছিলেন। পরিবার সূত্রে জানা গেছে বেশ কয়েকদিন খানাকুলে পেট খারাপে ভোগার পর থানার আধিকারিকরাই তাঁকে ছুটিতে যাওয়ার পরামর্শ দেন। গত রবিবার খড়গপুরে ফিরে আসেন তিনি। এখানে ফিরে আসার পর তাঁর জ্বর হয়। কয়েকদিন জ্বর ভাল না হওয়ায় তিনি খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসককে দেখাতে যান। এখানে চিকিৎসার পাশাপাশি নমুনা সংগ্ৰহ করা হয় তাঁর।
২৪তারিখ এই নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ওষুধ খাওয়ার পর বর্তমানে ভাল আছেন তিনি। যদিও রবিবার রিপোর্ট আসার পর দেখা যায় তিনি পজেটিভ। মঙ্গলবার ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। তবে উপসর্গ হীন হলে বাড়িতে থাকার পরামর্শও দিতে পারে স্বাস্থ্য দপ্তর। উল্লেখ্য খড়গপুর শহরে গত কয়েকদিন আগেই উপসর্গ হীন ব্যক্তিদের জন্য হোম আইসোলেশন শুরু হয়েছে। ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা ও তাঁর বাড়ি পর্যবেক্ষণ করার পর স্বাস্থ্য দপ্তর আক্রান্তকে হোম আইসোলেশনের পরামর্শ দিতেই পারেন।
এদিন শহরের এই একটি মামলা ছাড়া খড়গপুর গ্রামীনেও একজন ই এফ আর জওয়ানের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সালুয়া ই এফ আরের সদর দপ্তরের ৩৮ বছরের ওই জওয়ান ফার্স্ট ব্যাটেলিয়ানের জওয়ান। মনে করা হচ্ছে রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের প্রশিক্ষণের সময় যে ৯৯ জন জওয়ান, প্রশিক্ষক, রাঁধুনি সংক্রমিত হয়েছিলেন সেই সূত্র ধরেই ইনি আক্রান্ত হয়েছেন।