নিজস্ব সংবাদদাতা: “একজন মহিলা মূখ্যমন্ত্রীর রাজত্বে মহিলারাই সবচেয়ে নিরাপত্তাহীন। যে কোনো রাজ্যের চেয়ে তাঁর রাজত্বেই মহিলারা খুন ধর্ষনের শিকার সবচেয়ে বেশী। মহিলাদের বাড়ি থেকে টেনে ধর্ষণ করা হচ্ছে অথচ আমাদের মহিলা মূখ্যমন্ত্রী নবান্নের ১৪তলায় বসে মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন। যিনি তাপসী মালিকের লাশ মাড়িয়ে ক্ষমতায় এসেছেন অথচ আজ অবধি তাপসী মালিক, কামদুনি, পার্কস্ট্রিটের নির্যাতিতারা বিচার পাননি। এই ৯ বছরে চাল চুরি, ত্রিপল চুরি, আমফানের ত্রাণ চুরি করার পর মহিলাদের ইজ্জত চুরি করতে নেমেছে। ২০২১শে এই মূখ্যমন্ত্রীকে আর চাননা।” খড়গপুর ১ব্লকের হরিয়াতাড়া গ্রামপঞ্চয়েতের ধাদকি গ্রামের মাঠে একথাই জানালেন বিজেপির রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ফ্যাশান সুন্দরী অগ্নিমিত্রা পাল।
ভারতীয় জাতীয় মহিলা মোর্চার খড়গপুর ১ মন্ডলের সম্মেলন উপলক্ষ্যে বাস্তবিকই এক নজরকাড়া ভিড় এদিন দেখল ধাদকি। প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই সমবেত হয়েছিলেন সহস্রাধিক মহিলা। গ্রামীন মহিলাদের এই ভিড় শাসকদলের ভ্রু কোঁচকানোর মত যথেষ্ট ছিল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিজেপি সভাপতি সমিত দাস ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা ও খড়গপুর মন্ডলের বিভিন্ন অংশের নেতৃত্ব। ছিলেন মহিলা মোর্চার খড়গপুর ১ দক্ষিন মন্ডলের প্রমুখ কণিকা দেবনাথ, পম্পা সরকার। বিজেপির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন খড়গপুর ১ দক্ষিন মন্ডলের সভাপতি সৈকত শতপথী।
অগ্নিমিত্রা জানান, ” ২০২১য়ের নির্বাচনের আগে এবার দূর্গাপুজায় ঘরে ঘরে দুর্গারা জেগে উঠুন। শুধু ধুপ ধুনো দিয়ে মাটির প্রতিমাকে পুজা করা নয়, নিজেরাই দুর্গা হয়ে রুখে দাঁড়ান এই অত্যাচারী তৃনমূলের বাহিনীর বিরুদ্ধে কারন পুলিশ প্রশাসন আপনাদের প্রতি হওয়া কোনও অন্যায়ের বিচার করবেননা।”
বিজেপির খড়গপুর ১ দক্ষিন মন্ডলের সাধারন সম্পাদক কুনাল দে জানান, মহিলা মোর্চার সম্মেলনের পাশাপাশি এদিন বিজেপির পক্ষ থেকে মোদীজির ৭০ তম জন্ম দিন উপলক্ষ্যে ৭০টি দুঃস্থ পরিবারের শিশুদের মাস্ক, খাতা কলম ইত্যাদি তুলে দেওয়া হয়েছে। গত একবছর ধরে দলের উদ্যোগে সুস্থ হয়ে আসা এক ক্যানসার মুক্ত
মহিলাকে কিছু আর্থিক সাহায্য করা হয়। বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির পাশাপাশি এদিন ১০০টি গোর্খা জনজাতি ভুক্ত পরিবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি করা হয়।