নিজস্ব সংবাদদাতা: পায়ে পায়ে পেরিয়ে আসা ৪বছর! এই চার বছরে কী কী করা গেল আর কী কী করা যেত তারই সালতামামি হয়ে গেল খড়গপুর আশাত্তোরণ প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনের। রবিবার সকালে ৩০জন দিব্যাঙ্গর জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল এই জন্মদিন উপলক্ষ্যে যার মধ্যে ১৫জন পেলেন ট্রাই সাইকেল আর বাকিদের হুইল চেয়ার। সংগঠনের সহসভাপতি মহাদেব মন্ডল জানালেন, ‘খড়গপুর মহকুমার দাঁতন,খড়গপুর-২, কেশিয়াড়ী, নারায়ণগড়, সবং, পিংলা প্রভৃতি এলাকার এই তিরিশজনকে আমরা কিছুটা সহযোগিতা করতে পারলাম। আগামী দিনে আরও করার ইচ্ছা রয়েছে।”
সংগঠনের সদর দপ্তর খড়গপুর শহরেরই কৌশল্যায়। সকালের অনুষ্ঠানটি ছিল সেখানেই। চার বছর আগে যাঁর হাত ধরে এই প্রতিষ্ঠানের জন্ম, কর্ণধার সেই বিজয় কুমার জানা বলেন, ‘একেকটি জন্মদিন মানে আরও দায়িত্ব, আরও শপথ বেড়ে যাওয়া। সমাজের এই সব বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদের খুঁজে বের করা। তাঁরা সরকার ঘোষিত সুবিধা গুলি পাচ্ছেন কিনা ইত্যাদি দেখা, না পেলে সেগুলি পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া, তাঁদের সচেতন করা ইত্যাদি বহুমুখী কাজের পরিসর আরও বাড়ানোর শপথ নেওয়াই হল আমাদের জন্মদিন পালনের অঙ্গ। নিছকই কোনোও আমোদ অনুষ্ঠানেই প্রতিষ্ঠা দিবসটিকে আমরা সীমাবদ্ধ রাখতে চাইনা।”
সম্পাদক প্রলয় কুমার বেরা জানালেন, ‘ প্রতিবন্ধী মানেই শুধু সমাজ থেকে নেয় এমনটা তো নয়! তাঁরা সমাজের বোঝা নয় এটা বোঝানোর জন্যই গত নভেম্বরে শুধু মাত্র ওই মানুষদের নিয়েই একটি রক্তদান শিবির করে ফেললাম। ওই যে রক্ত তাতো প্রতিবন্ধী ছাড়াও সমাজের আবাল বৃদ্ধ বনিতা সবারই উপকারে লাগবে তাইনা? আমাদের উদ্দেশ্য তাঁরাও যে সমাজের সম্পদ এই ভাবনাটা সমাজ ও তাঁদের মধ্যেও সঞ্চারিত করা। এতে সমাজের উন্নাসিকতা ও এঁদের হীনমন্যতা দুটো থেকেই বেরিয়ে আসা সম্ভব।”
সংগঠনের তরফে খড়গপুর মহকুমার গ্রামগঞ্জ থেকে প্রান্তিক এলাকায় গিয়ে সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হচ্ছে মাঝে মধ্যে। কী ভাবে তাঁরা প্রতিবন্ধী কার্ড পাবেন? সরকারের মানবিক ভাতা পাবেন? চিকিৎসা সংক্রান্ত সুযোগ ইত্যাদি জানানোর পাশাপাশি সেগুলি পেতেও সাহায্য করা হয় বলে জানালেন কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে যে কেউ তাঁদের অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন। সরকারি এবং বেসরকারি সাহায্য সমন্বয়ে খড়গপুর মহকুমার সমস্ত দিব্যাংঙ্গকেই সাহায্য করার কাজ করে যাবেন তাঁরা, এই জন্মদিনে এটাই শপথ আশাত্তোরনের।