নিজস্ব সংবাদদাতা: এ যেন খড়গপুর স্টেশন! চায়ে গ্রম, চায় গ্রম আওয়াজ নেই, পুরী সবজি ওয়ালাদের ঠেলা গাড়ির ঘড় ঘড় আওয়াজ নেই। নেই ভিখারি , নেই কুলি, নেই কুকুরও ! সারা খড়গপুর স্টেশন জুড়ে শুধুই খাঁকি উর্দি ওয়ালাদের বুটের শব্দ। আর সেই খাঁকি উর্দিরও আজ ভিন্ন মাত্রা। আরপিএফ আর জিআরপি তো আছেই তার সঙ্গে আজ প্ল্যাটফর্মে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের খড়গপুরের শহর পুলিশও ! রেল সুরক্ষা বাহিনী বা আরপিএফের সিকিউরিটি কমিশনার ওয়ধেশ সিংয়ের সাথে খড়গপুর পুলিশ মহকুমা শাসক সুকোমল দাস। যেন জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে খড়গপুর স্টেশনে!
রবিবার সকাল সাতটা থেকে ভারতের জনতা ঘরবন্দি হবেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাষায় জনতা কার্ফ্যু। চলবে রাত ৯টা অবধি। আর সেই জনতা কার্ফ্যু বলবৎ করতে রাস্তায় পুলিশ। মারন রোগ তথা বিশ্বে মহামারী কোভিড-১৯ ওরফে করোনাকে রুখতে এক কঠিন লড়াইয়ে সারা দেশ। শনিবারই রাত্রি দশটার পর থেকে বেশকিছু ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এর ঘোষণা করেছিল রেলমন্ত্রক। আর শেষ বেলার ট্রেনগুলির ওপর তাই বিশেষ নজরদারি। আর সেকারনেই রেল আর পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বিশেষ অভিযান।
নামানো হয়েছে দাঙ্গা দমন বাহিনীকেও। হাজার হাজার লোকেরা থার্মাল স্ক্যানারের সামনে দাঁড় করানোর লম্বা বিশাল লাইন । রাজ্য পুলিশের সঙ্গে রয়েছে রেল পুলিশ ও রেলের স্বাস্থ্য দপ্তরের টিম। খাঁকি উর্দির শৃঙ্খলিত বাহিনী ছাড়া খাঁ খাঁ করছে গোটা স্টেশন চত্বর। থার্মাল স্ক্যানারের বাতি হঠাৎই দপ দপ করে উঠল। দৌড়ে গেলেন পুলিশ কর্তা , স্বাস্থ্য কর্তারা। এক যুবকের শরীরে ধরা পড়েছে অস্বাভাবিক তাপমাত্রা।
জানা গেল রাকেশ মাহাতো নামের ওই পুরুলিয়ার যুবক গোয়া থেকে ফিরছিলেন পুনে সাঁতরাগাছি স্পেশাল ট্রেনে। তাঁকে খড়গপুর রেল ডিভিশন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল। জানা গেল আজ সারা রাত এভাবেই চলবে বিশেষ নজরদারি। সূর্য ওঠার পরেই শুরু জনতা কার্ফ্যু।